নড়াইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ! ধর্ষক গ্রেফতার

নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুল ইউনিয়নের তুলারামপুর কাজলা গ্রামের হোসেন শেখ এর মেয়ে তুলারামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনিতে পড়ূয়া শিক্ষর্থী শারমিন আকতার (১৬) কে একই ইউনিয়নের দক্ষিন চাচড়া গ্রামের গণেষ বিশ্বাসের বখাটে ছেলে অন্তর বিশ্বাস (১৯) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বল্লে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষণকারী অন্তর বিশ্বাস।

ধর্ষণের শিকার শারমিন আকতার এর মা-রুপালী বেগম সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে জানান,স্কুল বন্ধ থাকায় গত (১৬ জুলাই) শনিবার বিকালে আমার মেয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে দর্জিবাড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে মোটরসাইকেলে করে এসে অন্তর বিশ্বাসসহ ৩জন একত্রে জোরপূর্বক পাট খেতে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে,অন্তর বিশ্বাস এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু বল্লে আমার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ভয়ে আমার মেয়ে বাড়িতে এসে আমাদের কিছুই বলেনি কিন্তু আমার মেয়ের মন খুব খারাপ থাকে,পরে স্কুল খুললে স্কুলে যেয়ে স্কুলের শিক্ষিকা শিউলি ম্যাডাম কে ঘটনার বিষয়ে প্রথমে বলে এবং শিক্ষিকা শিউলি ম্যাডাম, আমাকে একই দিন সন্ধার সময় ফোন করে জানান,শারমিন কে কিছুই বইলেন না,আপনার মেয়ে শারমিনের সাথে অন্তর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু ছেলে খারাপ কাজ করেছে বলে জানান।

স্কুলের শিক্ষিকা শিউলি ম্যাডাম প্রতিবেদককে জানান,কাউকে কিছু না জানানোর শর্তে আমার শিক্ষর্থী শারমিন আমাকে বলে ম্যাডাম আমার সাথে অন্তর বিশ্বাস নামের এক বখাটে ছেলে খারাপ কাজ করেছে, কি খারাপ কাজ করেছে জানতে চাইলে, আমাকে শারমিন সব কিছু খুলে বলে এবং আমি যদি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু বলি তাহলে শারমিন আত্মহত্যা করতে পারে, এই ভয়ে আমি তাৎক্ষনিক কাউকে কিছু না জানিয়ে,পরে ভেবে দেখলাম, আমি যদি শারমিনের বাবা-মা কে ঘটনাটা না জানায়, তাহলে নিজে অপরাধী হয়ে যাব, বলে একই দিন সন্ধার সময়, আমি ফোন করে শারমিনের মা-কে ঘটনার বুঝিয়ে বলি যে এটার জন্য শারমিন তো কোন দোষ করে নাই, শারমিনকে কিছুই বইলেন না বলেও জানান। ঘটনা শোনার পরে শারমিনের মা-তুলারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান কে ঘটনার বিষয়ে জানালে গত (২৩ জুলাই) রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় ধর্ষণকারী অন্তর বিশ্বাসকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সকালে ধর্ষণের শিকার শারমিন আকতারকে পুলিশ নড়াইল সদর হাসপাতালে মেডিকেল চেকাপের জন্য নিয়ে যান।

তুলারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন,আমাকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা-বিষয়টি জানালে,আমি সাথে সাথে প্রশাসনকে জানায় এবং ধর্ষণকারী অন্তর বিশ্বাসকে গত রাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্তর বিশ্বাস অপরাধী হলে তদন্তপূর্বক আমি তার সঠিক বিচার চাই। কেনো একজন হিন্দু সম্পদায়ের ছেলে হয়ে মুসলিম সম্পদায়ের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলো,এত বড় সাহস কোথায় পেল এবং এর সঠিক বিচার না হলে এ ধরনের অপরাধ নড়াইলে হতেই থাকবে বলেও জানান।

চাচড়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, অন্তর বিশ্বাস এর আগেও অনেক মেয়েকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে রাত্রীযাপন করেছে এবং পরে মেয়ের গার্জিয়ান’রা এসে গ্রামবাসিকে জানালে, স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে বলেও জানা যায়।

তুলারামপুর ইউনিয়নের বিট পুলিশের এস আই শিশির ঘোষ জানান, সদর থানার ওসি স্যার আমাকে ইনফরমেশন দিলে তাৎখনিক আমি অন্তর বিশ্বাস কে (২৩ জুলাই) শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো:মাহামুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, ভুক্তোভোগী মেয়ের মা একটি মামলা দায়ের করেন,যার মামলা নং ১৮। পুলিশ অন্তর বিশ্বাসকে আটক করে এবং অন্তর বিশ্বাসকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান।