বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে শিরোপা শ্রীলংকার
কম পুঁজি নিয়েও ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে শ্রীলংকা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লংকানরা মাত্র ২২১ রানে অলআউটের পর মনে হয়েছিল সহজ জয় পাবে টাইগাররা। কিন্তু সাকিবের অনুপস্থিতি আর দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তামিমের ব্যর্থতার কারণে এই কম পুঁজিও তাদের কাছে হয়ে উঠল পাহাড়সম।
শেষ পর্যন্ত ৪১.১ ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলীয় ২২ রানে ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ আশার ভরসা হয়ে ক্রিজে একাই লড়াই করে গেছেন। ব্যক্তিগত ৭৬ রান করে আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়। বাংলাদেশ হারে ৭৯ রানে।
মাত্র ২২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের ইঙ্গিত পায় মাশরাফিরা। এর পর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটি বাংলাদেশকে কেবল আশাই জাগিয়েছিল।
এর আগে ২২২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুন। তবে বেশিক্ষণ সেই ধারা বজায় রাখতে পারেননি তামিম। দেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান ১৮ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দলীয় মাত্র ৬ রান যোগ করে রানআউটের শিকার হন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।
সাকিবের পরিবর্তে খেলতে নামা সাব্বিরও এ ম্যাচে দলের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে ব্যর্থ হন। দলীয় ২২ রানের মাথায় এ হার্ডহিটার (২) প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে টাইগার শিবিরে হতাশা নামে। এরপর উইকেটে দুই ভায়েরা ভাই দলের হাল ধরেন।
দলীয় মাত্র ২২ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে পথ দেখাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ খেলছিলেন তারা। তবে ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ২২ করে আকিলা ধনাঞ্জয়ার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ফেরার আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে অর্ধশত রানের জুটি উপহার দেন মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৫৮ রানের জুটি। দলীয় ২৩তম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। দলীয় রান তখন ৮০। এরপর ক্রিজে আসেন মিরাজ। তবে মাহমুদউল্লাহকে যথাযথ সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ৯০ রানে ফিরে যান মিরাজ। এরপর ক্রিজে আসেন সাইফউদ্দিন। দলীয় ১২৬ রানের সময় দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে সাইফউদ্দিনের সাজঘরে ফেরার পর বাংলাদেশের শিরোপা জয় শ্রীলংকার দিকেই হেলে পড়ে।
নাটকীয়তা ভরপুর ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই-এ তত্ত্বই ছিল টাইগারদের ভরসা! কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কিছু একটা না ঘটায় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পরাজয়ের দিনে দারুণ কীর্তি গড়েছেন শেহান মাদুশানাকা। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক। আগের ওভারের শেষ দুই বলে মাশরাফি ও রুবেলকে ফেরান তিনি।পরের ওভারের প্রথম বলে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহর উইকেট। এতেমাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করলে এ তরুণ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন