স্বামী ট্রাম্পকে ছেড়ে হোটেলে থাকছেন মেলানিয়া!

পর্নস্টারের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে এবার বিবাহ জীবন টালমাটাল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে ট্রাম্পের ওই সম্পর্কের জেরে ট্রাম্পকে ছেড়ে বেরিয়ে গেছে স্ত্রী মেলানিয়া। হোয়াইট হাউস ছেড়ে তিনি এখন স্থানীয় একটি দামি হোটেলে অবস্থান করছেন। খবর ডেইলি মেইল ও ডেইলি মিররের।

মেলানিয়া ট্রাম্পের ঘর ছাড়ার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে মেলানিয়ার মুখপাত্র স্টেফানিয়া গ্রাহামের কাছে ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেনে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রায় সব সফরে মেলানিয়াকে সঙ্গী হিসেবে দেখা গেলেও গত সপ্তাহে দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা যায়নি মেলানিয়াকে। ফলে মেলানিয়ার ঘর ছাড়ার বিষয়টি বেশ আলোচনায় চলে আসে।

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পে ও পর্ন তারকা স্টেফানি ক্লিফোর্ডকে ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওই খবরে বলা হয়, ট্রাম্প গল্ফ ক্লাবে স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেন। পরে নির্বাচনের আগে এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে বিপদে পড়তে পারেন ট্রাম্প-এমন আশংকায় তিনি ওই পর্ন তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছেন। এ বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গণমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। খবরে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার বা ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে গলফের মাঠে একটি ইভেন্টে গিয়ে স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে পরিচয় হয় ট্রাম্পের। মার্কিন অভিনেত্রী স্টেফানির পর্নস্টার হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। মেলানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার এক বছর আগেই এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ট্রাম্প-স্টেফানির সম্পর্ক নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কেউ কিছু জানতেনও না।

কিন্তু, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড়ে ট্রাম্পের নাম ঘোষণার পর থেকেই তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গোটা দুনিয়াজুড়ে। স্টেফানি ছাড়াও বহু নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ এবং যৌন সম্পর্কের কথাও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় ওই পর্নস্টারকে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্টেফানির মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা প্রমাণ করতে ওই পর্ন তারকার স্বাক্ষর করা একটি নথিও ওয়াল স্ট্রিটের দফতরে পাঠিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী কোহেন। কোহেনের দাবি, স্টেফানির সই করা ওই নথি থেকেই স্পষ্ট, ‘মুখ বন্ধ’ রাখার জন্য তিনি ট্রাম্পের কাছে থেকে কোনো টাকা নেননি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই শুক্রবার দুপুরে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতি দেয়া হয়। তাতে জানানো হয়, এই কথাগুলো পুরনো। এর আগেও এভাবে সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়েছে। বছর দুয়েক আগে নির্বাচনের সময়েই ট্রাম্প এ কথাগুলো অস্বীকার করেছেন বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। পাশাপাশি ট্রাম্পের আইনজীবী দাবি করেন, ‘ওই জার্নালটি (ওয়াল স্ট্রিট) গত এক বছর ধরে ভুয়া খবর ছাপছে।’