বাগেরহাটের শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের নির্মানাধীন বেড়িবাঁধের পাশে ফাঁটল

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্মানাধীন ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধের পাশ্বের প্রমত্তা বলেশ্বর নদের হঠাৎ ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৫০ মিটার জমি গাছপালা সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে, নির্মানকৃত বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহার করায় বাঁধের অস্তিত্ব নিয়ে শংশয় প্রকাশ করেছেন বাঁধ পার্শবর্তী এলাকার বসবাসরত বাসিন্দারা।

২৪ এপ্রিল সোমবার বিকেলে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের গাবতলা এলাকার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকার মূল বাঁধের পাশের এ ভুম ধ্বসের ঘটনা ঘটে। এতে সিডর ও আয়লা বিধ্বস্ত মরণপুরী বলে খ্যাত গাবতলা সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের লোকজনের মাঝে চরম আতংঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে মূল বেড়িবাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জাকির হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলী হাওলাদার ও সমাজসেবক জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন জানান, উপজেলার সাউথখালী বাসীর প্রানের দাবী ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। বাঁধ নির্মানে সরকার প্রচুর বরাদ্ধ দিলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজিতে বাধেঁ মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহার ও নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করায় এ বাঁধে ফাঁটল ও বাঁধ পাশ^বর্তী এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বাঁধের অস্তিত্ব নিয়েও শংশয় প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দ্রুত নদী শাসন না করলে কাক্সিখত বেড়িবাঁধ হুমকির মূখে পড়বে বলে জানান তারা।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, তিনি বিষয়টি শুনে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে শীগ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।