‘বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর মানসিক সমস্যা ছিল’

দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ময়ুরপঙ্খীর ফ্লাইটটি (বিজি-১৪৭) ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর মানসিক সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছেন বিমান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান।

রোববার রাত ৮টার দিকে বেবিচক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

নাইম হাসান বলেন, ‘আমরা শুনেছি অস্ত্রধারীর মেন্টালি সমস্যা ছিল। তার নাম মাহাদী বলে জেনেছি। তিনি বাংলাদেশি এবং বিমানের ভেতর বাংলায় কথা বলেছেন। তার বিষয়ে এর বেশিকিছু জানা যায়নি। তিনি একাই বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।’

তিনি বলেন, ‘ক্রুদের সঙ্গে তার কথাবার্তা উল্টা-পাল্টা ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল। সেটিকে কেন্দ্র করেই এমন কাণ্ড করেছেন। মাহাদীর আচরণ অনেকটা খাপছাড়া মনে হয়েছে।’

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাহাদী বিমানের অন্য কাউকে জিম্মি করেননি। পাইলট বা যাত্রীদের জিম্মি করেননি। তার আচরণে আমরা হতভম্ব হয়েছি। তিনি ইচ্ছে বরলে জিম্মিও করতে পারতেন। কিন্তু, করেননি। সবমিলে আচরণ অস্বাভাবিক এবং রহস্যজনক।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন পর্যন্ত কমান্ডো অভিযানে মাহাদী গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান নাইম হাসান।

তিনি বলেন, ‘অস্ত্রধারী জীবিত আছেন। তাকে আমরা সরাসরি দেখিনি। যেহেতু জীবিত আছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি। আমরা তদন্ত করব, বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। অন্যান্য তদন্ত সংস্থাও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’

নাইম হাসান জানান, এ ঘটনায় বিমান অক্ষত রয়েছে। সব যাত্রীকে নিরাপদে বাইরে আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল কিনা জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘না। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আইকাও স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হয়ে থাকে। আমরা চাইলে এক রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে পারি না। আর আমাদের আকাশ পথে ব্যাপক আগ্রযাত্রা হয়েছে, যা আমাদের জন্য বিস্ময়কর ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আকাশ পথে আগ্রযাত্রায় হয়তো অনেকে হিংসা করেন। হতেও পারে এমন কিছু। তবে, তদন্ত বের হয়ে আসুক, আসলে ঘটনা কি ছিল?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রাম সফর করেন। তিনি সফরকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরই ব্যবহার করেন। সেখানেই এ ধরনের ঘটনা। এটা কি আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কিনা জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা অনেকগুলো এজেন্সি মেইনটেন করে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী স্তরভেদে কাজ করে। ডিজিএফআইসহ অনেক স্তরে এই নিরাপত্তা দেয়া হয়ে থাকে।’