বিলুপ্তির পথে প্রায় গ্রামীণ যাত্রাপালা
সংস্কৃতিকে একটি দেশের ধারক ও বাহক বলা হয়,এক কথায় সংস্কৃতি একটি দেশের প্রাণ। আর সেই দেশের প্রাণকে সজাগ ও সতেজ রাখতে গ্রামীণ যাত্রাপালার সংস্কৃতির তুলনার শেষ নেই। কিন্তু সাম্প্রতিকালে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণ যাত্রাপালা ধ্বংসের মুখে পড়েছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ যাত্রাপালাকে বাঁচিয়ে রাখতে এই আয়োজন পতিসরের মেলা আয়োজকদের।
এক সময়কার গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালার বিনোদনের একটা মজায় ছিল আলাদা। শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আনন্দ দেওয়ার মাধ্যমে নিজের সংসার চালাত এই পেশায় নিয়োজিত মানুষ কিন্তু যাত্রার বিনোদন প্রায় বিলুপ্তির পথে। যার ফলে এই পেশার লোকেরা পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে করছেন অন্য কাজ।
সৃজনশীলতা, মানব-ভাবনা ও কাব্যত্ব না থাকার কারণে এ যুগের যাত্রা (চুত্রারা) মুদিরা আর যাত্রাপালা সুনতে আসেনা,তবে এখনো দেশের কোথাও কোথাও যাত্রাপালার আসর চলে।
যাত্রাপালা দেখা চুত্রা করিম হোসেন,আব্দুল মালেক, জব্বার হোসেন, বলেন পতিসরে যেরকম যাত্রাপালা হচ্ছে এই রকম যদি সারা বাংলাদেশ সুন্দর মনোরম পরিবেশে হয় তাহলে এই সাংস্কৃতিক পালা আর বিলুপ্তি হবেনা।
পতিসরের মেলা আয়োজক মোঃ- আল-মামুন বলেন,আমাদের এই পতিসরের মেলার যাত্রা মঞ্চে চারদিকে চার টি সিসি ক্যামেরা আওতায়রেখে অচিলতা ছাড়ায় যাত্রা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে মেলা পরিচালনা করছি।
বৈকালী যাত্রাদলের মালিক ও পরিচালক মোরশেদ বাবু বলেন, আদি সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চায় তাদের কে পৃষ্টপোষকতার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রায়ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। সংস্কৃতি আমাদের তাই রক্ষা করার দায়ভারও আমাদেরকেই নিতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন