কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অস্তিত্ব নেই ইসিতে নিবন্ধন চাওয়া ৩টি রাজনৈতিক দলের

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা তিনটি রাজনৈতিক দলের কোন কার্যালয় কিংবা সমর্থকের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি উপজেলা নির্বাচন অফিস।

জানাযায়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করে। পরে আইন, নীতিমালা ও ইসির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত দিতে পারায় ১২টি দলকে বাছাই করা হয়। গত এপ্রিলে তাদের মাঠ পর্যায়ের তথ্য যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসাবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকার বিধান রয়েছে। বাছাইয়ে যে দলের মাঠপর্যায়ে এসব কার্যক্রম পাওয়া যাবে, সেই দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়,
নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা তিনটি দল ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় তাদের কার্যক্রমের তথ‍্য ইসিতে দাখিল করে। সে তথ্য যাচাইবাছাই এর দায়িত্ব পায় উপজেলা নির্বাচন অফিস। দল তিনটি হলো বাংলাদেশ মাইনরটি জনতা পার্টি (বিএমজিপি)। এ দলের উপজেলা শাখা অফিস সদরের ইন্দ্র প্রসাদ দেব মন্দির বলে জানানো হলেও ইন্দ্র প্রসাদ দেব মন্দিরে এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ডেমোক্রেটিক পার্টির উপজেলা অফিস সা্দ্দাম মোড় এলাকায় জনৈক আব্দুর রহিমের বাসার ঠিকানা দেখানো হলেও ঐ বাড়িতে পার্টি অফিসের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

অপর পার্টি বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) উপজেলা অফিসের কোন ঠিকানা দেয়া হয়নি। তবে তাদের কয়েকজন সমর্থকের নাম দেওয়া হয়েছে। নাম দেয়া হয়েছে এমন সমর্থক মানিক কাজি গ্রামের সিরাজুল ও জুলেখা বেগম পার্টি সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার সাহা জানান, ওটাতো একটি মন্দির। যেখানে নিয়মিত পুজা হয়। ওটা কিভাবে পার্টি অফিস হয়?

অপর দিকে বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম জানান, তিনি নিজেই তার বাড়িতে বসবাস করেন। এ বাড়ি কাউকে ভাড়া দেওয়া হয়নি। ডেমোক্রেটিক পার্টির নামও তিনি শুনেননি বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মশিউর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য দল ৩টির কেন্দ্রিয় কমিটির দেয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিলো। আমরা যাচাই বাছাই করে যা সত্য সে রিপোর্টই পাঠিয়েছি। ভূরুঙ্গামারীতে ঐসব দলের কোন অস্তিত্ব না পাওয়ায় যায়নি।