বেনাপোল শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবন। মামলা দায়ের

একদিকে পৌরসভা নির্বাচন অপরদিকে বন্দর শ্রমিকদের মধ্যে জিইয়ে থাকা দীর্ঘদিনের অসন্তষ এরই মধ্যে বেনাপোল বন্দর এলাকায় একটি বসত ঘরে বিকট শব্দে শক্তশালী ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ঘরের ২টি দেয়াল ও প্রাচীরসহ ৪টি রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফাটল ধরেছে ভবনে। ভবনের বাইরের আশেপাশের বাড়ীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কোন মানুষ হতাহত না হলেও বিস্ফোরিত স্থান থেকে ইট ও কাঠ উড়ে যেয়ে প্রতিবেশী বাড়ীর একটি ছাগল আহত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষে নিরাপত্তায় বাড়ীটি ফিতাদিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ভয়ে ও আতংকে বাসা ছেড়ে অন্যার্ত চলে গেছে ভাড়াটিয়ারা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি একটি মামলা হয়েছে।

গত ১ মাস বন্দর এলাকায় ছোটআচড়া মোড়ে একটি ভবনে শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ভেঙে পড়ে ভবনের কয়েকটি দেয়াল।

শুক্রবার বিকালে বন্দরের গাজীপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম শাহিনের বাড়ির নিচতলায় ঘটনাটি ঘটে।

বেনাপোল ফায়ার ষ্টেশন মাষ্টার রতন কুমার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে বন্দরের সামনে ভান্ডারী গলির পাশের শাহিনের ভবনের নিচ তলায় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভবন। ভবনের ইট ও কাঠ উড়ে যেয়ে ৫০গজ অদূরে পাশ্ববর্তী বাসাবাড়িতে যেয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের ধোয়া ও শব্দে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মুহুর্তেই ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ ও ফায়ার কর্মিরা। উদ্ধার করা হয় অনেকগুলো লোহার টুকরো জালেরকাঠি। বাড়িটি ঘিরে রাখেন প্রশাসনের বিভিন্ন এজেন্সির সদস্যরা। দেয়াল ও বাথরুম বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিস্ফোরণের বিষয়ে খোজ খবর নেন তারা।

তবে কে বা কারা বোমাটি সেখানে রেখেছিলো বা কীভাবে সেটি ফেটেছে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান বেনাপোল পোট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া।

পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান. দ্বোতলা বাড়িটির ওপরের তলায় থাকেন বাড়িওয়ালার বৃদ্ধ বাবা ইরফান আলী। নিচের তলায় ভাড়া থাকেন আরো দুজন। ব্যাংকে বন্ধক রয়েছে বাড়ীটি।

বৃদ্ধার দুই ছেলে থাকেন ঢাকায়। নিচতলায় কয়েকটি কক্ষ থাকে পরিত্যাক্ত। বাসাভাড়া দিয়ে ১০বছর যাবত টাকা নিতেন স্থানীয় মাহে আলম নামে এক ব্যাক্তি। ভাড়াটিয়া লিটন হোসেন পাশের একটি রুমে থাকতেন। লিটন বন্দরে কোনো এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় নিয়মিত কক্ষটিতে থাকতেন না তিনি। বিস্ফোরণের ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তথ্য উদঘাটনে ও তাদের সন্ধানে অভিযান চলছে। কাউকে পাওয়া গেলে ঘটনার বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে জানান ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ অপরাধ বিভাগ বিলাল হুসাইন জানান বিস্ফোরণের ঘটনাটি বোমা না গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘটেছে সে বিষয়ে জানা যায়নি। সুক্ষ অনুসন্ধান চলছে বলে জানান তিনি।