ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন, অভিযুক্তরা ১ বছরের জন্য বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী নির্যাতন ও বিবস্ত্রের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর পার্ট-২ এর ধারা-৮ মোতাবেক
অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধূরী অন্তরাসহ অন্য চার সহযোগীকে আগামী ১ বছরের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ নেয় সিদ্ধান্ত প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্য অভিযুক্তরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসানসহ শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এদিকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কারের বিষয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, তারা আমার উপর যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে তাতে তাদের এক বছরের শাস্তি কোনোভাবেই হতে পারেনা। এতে আমি সন্তুষ্ট না বরং আরো আতঙ্কিত। কারণ, তারা একবছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে এসে আমার প্রতিশোধ নিবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর আমি মনে করি, আমি সঠিক বিচার পাইনি। আমি চাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট- ১৯৮৭ এর পার্ট-২ এর ধারা-৮ মোতাবেক অন্তরাসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি এক (১) বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।