ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রীর সরকারি কম্পিউটারে হাজারও পর্ন ছবি!
একের পর এক সমালোচনায় ঘায়েল হতে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ডেমিয়েন গ্রিনের বিরুদ্ধে কম্পিউটারে পর্ন ছবি রাখার অভিযোগ উঠল এবার। তাও আবার উপপ্রধানমন্ত্রীর সরকারি কম্পিউটারেই এসব ছবি পাওয়া যায়। সিএনএনের সংবাদ।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের প্রাক্তন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে গ্রিনের কম্পিউটারে এসব ছবি পাওয়া যায়। যদিও ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে ব্রিটিশ সরকার।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নেইল লুইস বলেন, ২০০৮ সালে এক অভিযানে ডেমিয়েন গ্রিনের সরকারি কম্পিউটার তল্লাশি চালানো হলে তাতে কয়েক হাজার পর্নো ছবি দেখতে পান তারা। তার কম্পিউটারে এত পরিমাণ পর্নো ছবি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেলেন তারা। তার মধ্যে নয়টি ছবি ছিল অত্যন্ত অশ্লীল ও নোংরা পর্যায়ের।
গত মাসে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম সানডে টাইমসে, সে অভিযানের প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গ্রিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। গ্রিন দাবী করেন, এ কম্পিউটার তিনি ব্যবহার করেননি। তবে বিবিসিকে দেয়া বক্তব্যে নেইল বলেন, কম্পিউটারটি ডেনিয়েল গ্রিনের অফিসেই ছিল। এতে তার একাউন্ট ও নামটিও ছিল। সেখান থেকে নিয়মিত পর্নোগ্রাফির সাইট বাউজিং করা হত।
এদিকে প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, কম্পিউটারটিতে টানা তিন মাসের চেয়েও বেশি সময় পর্নো উপকরণ দেখা হয়েছে। অনেক সময় দিনে টানা কয়েক ঘন্টা পর্নো দেখা হয় এতে।
সাম্প্রতিক সময় ব্রেক্সিট সহ নানা ইস্যুতে সমালোচিত হয়েছেন থেরেসা মে। সেইসাথে ট্রাম্পের সাথে ব্রিটিশ সম্পর্ক নিয়েও অনেকে উদ্বিগ্ন। কয়েকদিন ধরে হোয়াইট হাউসের সাথে উত্তপ্ত সময় পার করছে ব্রিটিশ সরকার। এমন সময় ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ নতুন সমালোচনা ও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন