ভয়াল করোনায় মৃত্যু ৩১ লাখ ছুঁই ছুঁই
করোনা মহমারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার ২৯৯ জন, মারা গেছেন ৩০ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪১ জন। এর মধ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৭৫৬ জন।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট করোনা ওয়ার্ল্ডোমিটারের শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্বের দেশগুলের মধ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় এখনও শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯২ জন, মারা গেছেন ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩ জন।
আ্ক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে ভারত। মহমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ৬৬ লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জন, মারা গেছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৯ জন।
এই তালিকায় ভারতের পরই আছে ব্রাজিল। তবে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্তের তালিকায় ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকলেও মৃত্যুর হিসেবে এগিয়ে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ১১০ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৩ জন।
তবে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম নয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭০২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যদিও অভিযোগ করে আসছে, চীনের গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রাকৃতিকভাবেই আবির্ভাব ঘটেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২০ সালের প্রথম সাত-আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর ওই বছরের শেষ দিকে কিছুটা কমে এসেছিল করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির করোনা প্রতিরোধী টিকা বাজারে এসে যাওয়ায় গণটিকাদান কর্মসূচিও শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
তবে গত মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ফের ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দক্ষিণ এশিয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন