ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দোকানঘর ভাংচুর-লুটপাট, মারধর, আহত-২

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দোকান ঘর ভাংচুর-লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের মনাটি বাজারে। এতে মোঃ রবিন খান (২২) আহত হন।

এই ঘটনায় মো. হিমেল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্তরা মোমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে রামদা দিয়ে বাদীর মা মেহেরুন নেছা জখম হয় এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, মনাটি গ্রামের মৃত বদির জমা খাঁর পুত্র মোঃ মজনু মিয়া (৩৮), মোঃ মহি উদ্দিন খান পালু (৪০), মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আসাদ মিয়া (৩৫), মৃত সদর আলীর পুত্র মোঃ তোতা মিয়া (৫৫)সহ অজ্ঞাত ২৫ জন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার সময় অভিযুক্তরা বাদীর বাবা মো. মমতাজ উদ্দিনের স্বত্ব দখলকৃত দোকানঘরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দোকানঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও লুটপাট করে। এসময় বাদীর ভাই মোঃ রবিন খানকে রামদা, রড দিয়ে হামলা করে আহত করে।

বাদী হিমেল মিয়া জানান, তার বাবার নামে মনাটী বাজারের মার্কেটটি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নয়ন মিয়াকে ভাড়া দেয়া হয়েছিলো। ভাড়া দেয়ার তিন বছর পর অভিযুক্তরা জালিয়াতি করে ভাড়াটিয়া নয়ন মিয়ার কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করে দেয়। এখন বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভাড়াটিয়া নয়ন মিয়া ঘর ছেড়ে দিলেও অভিযুক্তরা দোকান ঘরটি দখলে নেয়ার জন্য আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটপাট করে। এতে আমাদের সাড়ে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমি ও আমার ভাইকে হামলা করে আহত করে। আমার ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

বাদীর বোন আকলিমা আক্তার আখিঁ জানান, অভিযুক্তরা সোমবার আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে এসে হামলা করে এবং আমার মায়ের হাতে রড দিয়ে বারি মেরে আহত করে। আমার মা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা এই ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত মজনু মিয়া বলেন, আমাদের জায়গা না দিতেই মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা নিজেরা নিজেরাই দোকান ঘর ভাংচুর করেছে। এই ঘটনার সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।