মহিলা সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে টানলেন ইউপি চেয়ারম্যান!
ঝালকাঠির রাজাপুর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যকে চড়-থাপ্পড় মেরে চুলের মুঠি ধরে টানা, গালাগাল ও হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য ও উপজেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন নাহার নিরু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুন নাহার নিরু অভিযোগ করেন, তার ওয়ার্ডের বিধবা ও বয়স্ক ভাতার তালিকা জমা দেয়ার জন্য গত ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় রাজাপুর মেডিকেল মোড়ে চেয়ারম্যানের রড সিমেন্টের দোকানে যান নুরুন নাহার।
চেয়ারম্যানের কাছে বিধবা ও বয়স্ক ভাতার তালিকা জমা দিলে ওই তালিকা দেখে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ভাতা দেয়া যাবে না। আমি যে নাম দেব তা দিয়ে তালিকা তৈরি করে দিতে হবে,অন্যথায় পাস করা হবে।
চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নুরুন নাহার নিরুকে চড়-থাপ্পড় মারেন চেয়ারম্যান।
এ সময় ভয়ে দৌড় দিলে চেয়ারম্যান নুরুন নাহার নিরুকে দাবড়িয়ে চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করেন এবং গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় ইউপি সদস্য মিজান মাঝি ও মোসা. নাজমা ইয়াসমিন চেয়ারম্যানের হাত থেকে নুরুন নাহার নিরুকে রক্ষা করেন।
নুরুন নাহার নিরু বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরউজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজাপুর থানার ওসি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজুকে জানালেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ঘটনার বিচার দাবিতে নুরুন নাহার সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নুরুন নাহার নিরু টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদান করেন, তাই তার তালিকা গ্রহণ করা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন