‘মা’ : ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভূবনে নাই
সত্যিই… ‘মা’ শব্দটায় আছে মাত্র একটি অক্ষর, কিন্তু তার ব্যাপকতা পরিমাপ করা অসম্ভব। একজন মানুষের জন্মের আগে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পুরোটা সময়ে তার মায়ের প্রভাব বিরাজমান।
পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সম্পর্কের সেই মায়ের প্রতি বিশেষ সম্মান জানিয়ে বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস।
তবে মা দিবস মানে এই নয় যে, শুধু এই একটি দিনেই মাকে সব সম্মান, ভালোবাসা দেবো, কোনো একটা উপহার দিয়ে তাকে খুশি করব। আর বাকি ৩৬৪ দিন তাকে ভুলে থাকব।বিশ্ব মা দিবস
বরং মা দিবসের আয়োজনের উদ্দেশ্য প্রত্যেক সন্তানকে মনে করিয়ে দেয়া, মা কোনো সাধারণ মানুষ, কোনো সাধারণ সম্পর্কের নাম নয়। ‘মা’ একটি ভালোবাসার নাম, এক অত্যাবশ্যক দায়িত্বের নাম, এক স্বর্গের নাম, যাকে এক মুহূর্তের জন্যও অবহেলা করা অসম্মানজনক।
প্রতিটি দিন যেন প্রত্যেক মায়ের প্রতি যথাযথ সম্মান ও মনোযোগ দেয়া হয়, সেই সচেতনতা তৈরির জন্যই মূলত এই মা দিবস।
যুক্তরাষ্ট্রে আনা জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জার্ভিসের উদ্যোগে মা দিবসের সূচনা হয়। ১৯০৮ সালের ১০ই মে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফইনের গির্জায় আনুষ্ঠানিকভাবে মা দিবস উদযাপন শুরু হয়।
পরে ১৯১৪ সালের ৮ মে থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে মার্কিন কংগ্রেস।বিশ্ব মা দিবস
আনা জার্ভিস দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মা দিবসের তারিখটি ভিন্ন। যেমন, নরওয়েতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রবিবার, আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে মার্চের চতুর্থ রোববার। আর বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার।
পশ্চিমা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন