ভালোবাসার তাজমহল গড়েছেন যেসব বলিউড জুটি

শুধু পর্দায় নয়, অনেক বলিউড জুটি বাস্তবেও গড়েছেন ভালোবাসার তাজমহল। তারা প্রমাণ করেছেন, পরিবার নিয়ে সুখে থাকা যায়। এমনই কিছু বলিউড তারকা জুটি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল-

অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন : বলিউডের স্বর্ণালি জুটি হলেন এ দুজন। অনেক বিতর্কের পরও তাদের পথ কখনও আলাদা হয়নি। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন দুজনের বিয়ে হয়। জয়া তখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। আর অমিতাভ কেবল লাইমলাইটে এসেছেন। এর পর কালক্রমে এ অমিতাভ বনে গেছেন উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার।

দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু : দুজনের বয়সের ব্যবধান ২২ বছর। তার পরও তাদের ভালোবাসার গল্পটা চিরসবুজ। বরাবরই ‘ট্র্যাজেডির রাজা’ দিলীপ কুমারের বড় ভক্ত ছিলেন সায়রা বানু। সায়রার মা নাসিম নিজে দিলীপ কুমারকে তার মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেন। ১৯৬৬ সালে যখন বিয়ে হয়, তখন সায়রার বয়স মাত্র ২২ বছর। এর কয়েক বছরের মধ্যেই ফিল্ম দুনিয়াকে বিদায় জানান সায়রা।

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী : বলিউডের বিবাহিত থাকার পরও ধর্মেন্দ্র ড্রিমগার্লের প্রেমে পড়েন। সিনেমার সেটে দুজনের প্রেম শুরু হয়। তবে ধর্মেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদে অস্বীকৃতি জানানোয় হেমাকে নিয়ে তার কঠিক পথ পাড়ি দিতে হয়। ১৯৭৯ সালে দুজনেই ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। দুজনের নাম হয়– দিলওয়ার খান কেওয়াল কৃষ্ণ ও আইশা বি আর চক্রবর্তী, তার পর বিয়ে করেন।

ঋষি কাপুর ও নিতু সিং : বলিউডের ‘লাভার বয়’ ঋষি কাপুরের সঙ্গে প্রেম হয় সহ-অভিনেত্রী নিতু সিংয়ের। সমর্থকদের কাছেও পেয়ে যান রোমান্টিক জুটির খেতাব। বাস্তবেও শুরু হয় তাদের ‘খুল্লাম খুল্লা প্যায়ার’ অতঃপর বিয়ে।

অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খান্না : ‘খিলাড়ি’খ্যাত অক্ষয় ছিলেন নব্বই দশকের প্লেবয়। তাকে ঘিরে অনেক নায়িকার প্রেমের গুজব ছিল। রাভিনা ট্যান্ডন, শিল্পা শেঠী কিংবা পূজা বাত্রাদের সঙ্গে তার প্রকাশ্যেই প্রেম ছিল। সব কিছুর ইতি হয় যখন তার জীবনে আসেন ডিম্পল কাপাডিয়া ও রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কল। ২০০১ সালে তাদের বিয়ে হয়।

শাহরুখ খান ও গৌরি খান : ভিন্ন ধর্মের এই দুজনের প্রেম চলেছে সেই স্কুলজীবন থেকেই। শাহরুখ খান যখন স্ট্রাগলার ছিলেন, তখনও পাশে পেয়েছেন গৌরিকে। আজ যখন তিনি বলিউডের কিং খান তখনও পাশে আছেন স্ত্রী গৌরি।