মাংস কম দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল বরের বাবার
পুত্রবধূকে বরণ করতে এসে মাংস কম দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নুরু মিয়া (৬২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার আমিরুলবাড়ি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নববধূকে না নিয়ে ফিরে গেছে বর পক্ষ। পুলিশ কনের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত এক সপ্তাহ আগে রংপুরের হাজিরহাট উত্তম বাওয়াইপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে জনাব আলীর (২২) সঙ্গে জলঢাকা পৌরসভার আমরুলবাড়ি গ্রামের আনারুল ইসলামের (৫৫) মেয়ে জান্নাতি আক্তারের (২০) বিয়ে হয়। গতকাল শুক্রবার নববধূকে তুলে নিতে আসেন বর পক্ষের লোকজন। বর পক্ষের ১০০ জন মেহমান আসার কথা থাকলেও সেখানে এসেছেন প্রায় ২৫০ জন। এতে খাওয়ার সময় মাংস কম পান বর পক্ষের লোকেরা। এ নিয়ে কনে পক্ষের সঙ্গে বর পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বরের পিতা আহত হলে তাকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসক নুরু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার দুপুরে কনের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন অ্যাডিশনাল এসপি আমিরুল ইসলাম, জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির, পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুসহ জনপ্রতিনিধিরা। তবে কনের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, জনাব আলী (বর) বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার ২ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন