মৃত ঘোষণার ৩ ঘণ্টা পর কেঁদে উঠল নবজাতক
খুলনার দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেছেন এক চিকিৎসক। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ওই নবজাতককে সবার অজান্তে ফেলে রাখা হয়।
নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে উপজেলা সমবায় অধিদফতরের অফিস সহকারী পুরঞ্জন গাইনের স্ত্রী সোমা গাইন অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রথমে চিকিৎসক সন্তোষ কুমার মজুমদার রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে বেডে পাঠান। রাত ২টার দিকে তার প্রসব ব্যথা উঠলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামিম হোসেনের তত্ত্বাবধানে তাকে ডেলিভারির জন্য কেবিনে নেয়া হয়।
সেখানে সোমা গাইন ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং টেবিলের ওপর তুলা মুড়িয়ে ফেলে রাখেন।
সকালে নবজাতকের বাবা খবরটি তার বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর সকালে হাসপাতালের আয়া আছমা বাচ্চাটিকে ফেলে দিতে গেলে কেঁদে ওঠে। খবর জানতে পেরে রোগীর অভিভাবকরা মা ও শিশুটিকে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের নার্স লিপিকা রানী সাহা বলেন, বাচ্চাটির হার্টবিট না পাওয়ায় টেবিলের ওপর রাখা হয় এবং ২টা ১০ মিনিট থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ছিল। পরে বাচ্চাটি জীবিত আছে টের পেয়ে ওয়ার্মে রাখা হয়।
বিষয়টি জানার জন্য চিকিৎসক সন্তোষ কুমার মজুমদার ও ডা. শামিম হোসেনের মোবাইলে বারবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তারা।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হকের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, একই সময়ে ৩টি বাচ্চার জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে একটি বাচ্চা মৃত বলে গুজব রটেছে। যেভাবে বিষয়টি শোনা যাচ্ছে আসলে তা ঠিক নয়।
এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের গাফিলতির বিষয়টি সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। বিষয়টির তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন