মেয়ের সঙ্গেও অবৈধ সম্পর্ক ছিল ধর্ষক রাম রহিমের!
দু’জন শিষ্যকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের ধর্ষক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। তবে যে মামলায় ভারতে কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চলছে তার চেয়েও গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন জামাই বিশ্বাস গুপ্তা; সেটা ২০১১ সালে।
বিশ্বাস গুপ্তার অভিযোগ ছিল, পালিত কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিমের। নিজের পাপ ঢাকার জন্যই মূলত তিনি হানিপ্রীতকে দত্তক নিয়েছিলেন।
বিশ্বাস গুপ্তার দাবি, ২০১১ সালে একবার তিনি ডেরা সাচ্চা সৌদার গুরমিত রাম রহিমের গুফায় গিয়েছিলেন। সেসময় খোলা ছিল ঘরের দরজা। উঁকি মেরে দেখতেই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাম রহিম, তার স্ত্রী ও হানিপ্রীত সেসময় আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন।
বিশ্বাস গুপ্তা আরও জানান, ১৯৯৯ সালে ফতেহাবাদে তাদের বিয়ে হয়। রাম রহিম যদি হানিপ্রীতকে দত্তক নিয়ে থাকেন, তাহলে কেন তিনি আমাকে হানিপ্রীতের সঙ্গে থাকতে দেন না?
রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে তিনি মামলাও করেছিলেন। তবে পরে আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
রাম রহিমের সবগুলো চলচ্চিত্রেই দেখা গেছে হানিপ্রীতকে। হানিপ্রীতের ফেসবুক প্রোফাইল মোতাবেক, তিনি সমাজকর্মী, পরিচালক ও অভিনেত্রী।
গত শুক্রবার ১৫ বছর আগের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ৫০ বছর বয়সী রাম রহিম সিং। তাকে দোষী সাব্যস্ত করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার শিষ্যরা তাণ্ডব শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৩৮ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়। ৩২ জন পঞ্চকুলায় এবং সিরসায় ৬ জন নিহত হয়।
সোমবার বিচারপতি জগদ্বীপ সিং ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাম রহিমের ১০ বছরের সাজা এবং ৬৫ হাজার রুপি জরিমানা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন