যবিপ্রবির শ.ম.র হলে আবারও জন্মছে গাঁজা গাছ, হল প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান (শ.ম.র.) ছাত্র হলে আবারও জন্মেছে গাঁজা গাছ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) হলের পিছনে পশ্চিম পাশে ৭/৮ টি গাঁজা গাছ পাওয়া যায়। এর আগে (১৫ জানুয়ারি) ১৫ টির মতো গাঁজা গাছ উদ্ধার করে আনসার সদস্যের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেয় হল কর্তৃপক্ষ ।
শ.ম.র হলে একাধিকবার গাঁজা গাছ পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারাণ শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে প্রকৌশল অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। অথচ আমাদের এখানে মাদকদ্রব্য চাষের চর্চা হচ্ছে। হলের খেলার মাঠ, পিছন সাইড এমনকি রুমের করিডোরে মাদকের গাছ পাওয়া যাচ্ছে যা হতাশাজনক। এখানে হল কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
ইংরেজি বিভাগের আরেকজন শিক্ষার্থী সৈয়দ ইশতিয়াক কাইয়ুম বলেন, যারা হলে গাঁজা খান, তারা একটু সাবধানে খাবেন এবং নিজের খাওয়া শেষ করে উচ্ছিষ্ট অংশ যেখানে সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলার চেষ্টা করবেন। কর্তৃপক্ষের দায় দেখতে গেলে এখানে তাদের ভূমিকা খুবই নগণ্য। তারা তো গাছ নিয়ে আসেনি কিন্তু তারা পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যর্থ। এখানে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ঠিকই গাঁজা সেবন করে। সহপাঠী বা জুনিয়রদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে গাঁজা সেবন থেকে বিরত থাকার।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, আমরা এখনি গাছগুলো ধ্বংস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গতমাসে গাঁজা গাছ পাওয়ার পরই মালীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এসব গাছ যেন কোনভাবেই জন্মাতে না পারে। তারপরেও বারবার কেনো গাঁজা গাছ জন্মাচ্ছে তার সঠিক কারণ আমার জানা নেই। পূর্বের গাঁজা গাছ উদ্ধারের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে আমরা জানতে পারবো কেনো গাছগুলো জন্মাচ্ছে। এছাড়াও আগামীকাল (শনিবার) মিটিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন