যশোরের শার্শায় স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

যশোরের শার্শায় একটি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর দাবির মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী।

উপজেলা প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজ করার কথা থাকলেও তাদের অনুপস্থিতেই চলেছে কাজ।

এলাকাবাসী জানান, গত সপ্তাহ খানেক আগে প্রাচীরের ব্যাচ খুড়ে শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের পিঁপড়াগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ কাজের প্রথমেই নিচের ব্যাচ ঢালাই ও প্রাচীরের কলাম তৈরীতে যশোরের মনিরামপুরের ঠিকাদার ইমরান নিম্নমানের বালু, খোয়া ও স্বল্প পরিমানে সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

এলাকাবাসী আরও বলেন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ব্যাচ ও কলাম ঢালাইয়ে যে পরিমাণে ইট, বালু, খ দেওয়া আদেশ থাকলেও ঠিকাদার ইমরান টাকা বাঁচানোর জন্য তা না করে নিম্নমানের বালু, খোয়া ও স্বল্প পরিমানে সিমেন্ট ব্যবহার করেন। যা এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহতি করে ভেঙ্গে ফেলে।

পিপড়াগাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলেন, শুক্রবার ও শনিবার আমাদের স্কুল বন্ধ থাকে। ঠিকাদার কলাম ঢালাই দেবে সেটা আমাদের কাউকে জানায় নি। আমাদের জানালে আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতাম। ঠিকাদার তার নিজের ইচ্ছামত করেছে, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে এসে দেখি বিভিন্ন অনিয়ম করে কলাম ঢালাই দিছে। কলামে হাত দিলে ঢালাই ঝড় ঝড় করে পরে যাচ্ছে এবং রড নড়ছে। এতে করে আমি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাতে তাদের আদেশে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়।

মহিলা ইউপি সদস্য আসমা আক্তার নীলা কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ জানি ঠালাঠেলি করে ভাঙ্গচ্ছে। মিস্ত্রিরা বলছিলো ভুল করে বালি বেশি দিয়ে ফেলেছে তাই এমনটি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার ইমরান বলেন, মিস্ত্রিরা একটু ভুল করে ফেলেছে। কাজ এখন বন্ধ আছে। ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখবে যদি ইঞ্জিনিয়ার ঠিক মনে করে তাহলে হবে আর যদি ঠিক না থাকে তাহলে কলম ভেঙ্গে নতুন করে কলাম করা হবে।

ঠিকাদার ইমরানের নিজস্ব নির্মাণ শ্রমিক মিঠু হোসেন অনিয়মের কথা স্বীকার করেন না। বরং তিনি জানান ঠিকাদার ইমরান কলাম ঢালাই এর দিন ফোন করে ইঞ্জিনিয়ার অফিসে জানিয়েছে কিন্তু কোন ইঞ্জিনিয়ার কাজের সাইটে আসিনি।

এ ব্যাপারে পিপড়াগাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের (এস, ও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে অনিয়মের বিষয়টি জানালে আমি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এবং ঢালাই কলাম গুলো ভেঙ্গে দিতে বলি। সরজমিনে বিষয়টি দেখেছেন কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে আছি। আগামীকাল সাইট এ যাবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মামুন খান বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে ঠিকাদার ঢালাই দিছে। বিষয়টি জেনেই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নতুন করে আমাদের উপস্থিতিতে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমাদের উপস্থিতি ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।