যে ৭০ জন এমপি এবার মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছেন

আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের কয়েকমাস আগেই হতে পারে বলে জানা যায়। তার জন্য আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এমনকি দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‍গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে সফর শুরু করেছেন। তবে আগামী একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ৭০ জন এমপি মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বোর্ড সূত্রে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবেই শেখ হাসিনা আগামী ৪ মাস ব্যস্ত থাকবেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদকও বিবাদমান জেলাগুলোর তৃণমূলকে সংগঠিত কাজ শুরু করেছেন।

তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছেন কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতারা। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বোর্ড। তবে দলের বর্তমান সংসদের কমপক্ষে ৭০ জন সদস্য মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হতে পারেন বলে জানা যায়।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের মাঠ জরিপ শুরু করেছেন, সেখানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে হেভিওয়েট প্রার্থীসহ শতাধিক জনের নামে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। যারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তাদের মধ্যে অনেকেই বয়সের কারণে বাদ পড়বেন। এছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল বিচ্ছিন্নতা এবং বিনাভোটে এমপি হয়েও নিজের অবস্থান তৈরি করতে না পারা অনেক এমপিই বাদ পড়ার তালিকাতে আছেন।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে এ তালিকায় যাদের মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন: শিবলী সাদিক (দিনাজপুর-৬), আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), মাহবুব আরা গিনি (গাইবান্ধা-২). ড. ইউনূস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), এমাজ উদ্দিন প্রমাণিক (নওগা-৪), ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক (রাজশাহী-৪), আব্দুল মজিদ মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৬), শামসুল হক টুকু (পাবনা-১), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), আব্দুর রউফ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১), ইসমত আরা সাদিক (যশোর-৬), এটিএম আব্দুল ওয়াহাব (মাগুরা-১), মীর শওকত আলী বাদশা (বাগেরহাট-২), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আফম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), শওকত হাসানুর রহমান রিমন (বরগুণা-২), এ কে এম এ আওয়াল (সাইদুর রহমান) (পিরোজপুর-১) মাহবুবুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), তালকুদার মোহাম্মদ ইউনূস (বরিশাল-২), বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১), আমানুর রহমান রানা (টাঙ্গাইল-৩), খন্দকার আব্দুল বাতেন (টাঙ্গাইল-৬), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), রেজাউল করিম হীরা (জামালপুর-৫), এ কে এম ফজলুল হক (শেরপুর-৩), মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), রেবেকা মমিন (নেত্রকোণা-৪), জাহিদ মালেকী (মানিকগঞ্জ-৩), সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (মুন্সিগঞ্জ-১), হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস মোল্লা (ঢাকা-১৬), রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু (নরসিংদী-৫), কাজী কেরামত আলী (রাজাবড়ী-১), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), কর্ণেল (অব.) শওকত আলী (শরিয়তপুর-২), মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), আবুল মাল আবদুল মুহিত (সিলেট-১), সাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), আবদুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মো. ছায়েদুল হক (বি.বাড়িয়া-১), ফায়জুর রহমান (বি.বাড়িযা-৫), একেএম বাহাউদ্দিন (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (চাঁদপুর-৫), রহিম উল্লাহ (ফেণী-৩), আয়েশা ফেরদৌস (নোয়াখালী-৬), মো. আবদুল্লাহ (লক্ষীপুর-৪), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), আফসারুল আমীন (চট্টগ্রাম-১০), এম এ লতিফ (চট্টগ্রাম-১১), আব্দুর রহমান বদি (কক্সবাজার-৪),

সংসদ সদস্য ছাড়াও যারা আছেন, সাবেক এমপি জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম (৪ আসন)।