ঠোঁট না থাকায় সমাজ থেকে বিতাড়িত!

রাশিয়ায় মাত্র ৩ বছর বয়সী এক শিশু জন্মের সময় ঠোঁটবিহীন জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি তার পরিবারের বেশীরভাগ মানুষের দ্বারা অবহেলিত। তার সাথে কেউ সম্পর্ক রাখতে চায় না।

ড্যারিনা পেংলার নামের সিলবেরিয়ার এই নাগরিক জন্মের সময় থেকেই অর্ধেক মুখ নিয়ে জন্মেছে। তার চেহারার এই কন্ডিশন কেন হয়েছে, তার কোন উত্তর চিকিৎসাশাস্ত্র এখনো দিতে পারেনি। এদিকে শিশুটির মা-বাবাকে সমাজে একা করে দেয়া হচ্ছে। তাদের পরিবারের অনেকেই তাদেরকে একা করে দিচ্ছেন। তাদের বন্ধুরাও ছেড়ে যাচ্ছে তাদের পরিবারকে। কিন্তু এতুকিছুর পরও ড্যারিনা মা-বাবা এলিনা এবং ইউরি সমাজের বাহিরে যান নি। তারা সকলের সামনে প্রকাশ্যে নিজের মেয়েকে নিয়ে বিচরণ করছেন। তারা মেয়ের মুখের অবয়ব ঠিক করার জন্য অনেক সার্জারিও করিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সুফল মিলেনি। সার্জারি করার কারণে তাদের আত্মীয়গণ পুলিশের কাছে নালিশ করেছে যে, সার্জারি করে তারা মেয়ের আরও ক্ষতি করছে।

ড্যারিনার মা সাইবেরিয়ান টাইম্‌সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ড্যারিনার ঠোঁট নেই। যার ফলে তার মুখ থেকে সবসময় রক্ত ঝরতে থাকে। শুধু আমার বোন আমাদের সাথে সম্পর্ক রেখেছে, আর বাকি সকল আত্মীয় কোন খোঁজ খবর নেয় না। আমার ভাই ও তার পরিবারের বাকীরা, আমার শাশুড়ি কেউ ড্যারিনাকে মেনে নিতে পারেনি। আমরা ড্যারিনাকে কারও কাছ থেকে লুকিয়ে রাখি না। আমরা সবসময় তাকে সাথে নিয়ে চলাচল করি।

আমার স্বামীও ড্যারিনার জন্য লজ্জিত নয়। অনেকেই বলে ড্যারিনাকে মাস্ক পড়িয়ে রাখতে। কিন্তু সে (ড্যারিনার বাবা) বলেন, তোমাদের দেখতে ইচ্ছা না করলে, তোমরা দেখো না। ও যেভাবে আছে আমরা তাকে সেভাবেই মেনে নিয়েছি।

ড্যারিনাকে কোন স্কুলে ভর্তি করানো যায়নি, কারণ কর্তৃপক্ষের মতে ড্যারিনাকে দেখে বাকীরা নাকি ভয় পাবে। সবাই তাকে অনাথ আশ্রমে রেখে আসার পরামর্শ দেন।

ড্যারিনা গান গাইতে পছন্দ করেন। তাই তার জন্য ঘরে শিক্ষক রাখা হয়েছে। তার জন্য ঘর ভর্তি খেলনা রয়েছে, কিন্তু তাও বন্ধুর কমতি তো আছেই।-সূত্রঃ ডেইলি মেইল।