পুতিনের দুই দিনের অর্থোডক্স ক্রিসমাস যুদ্ধবিরতির আদেশ
যেন যুদ্ধে শ্বাস ফেলার জায়গা খুঁজে পাওয়ার একটি চেষ্টা : জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের অর্থোডক্স ক্রিসমাস যুদ্ধবিরতির আদেশ যেন যুদ্ধে শ্বাস ফেলার জায়গা খুঁজে পাওয়ার একটি চেষ্টা। স্থানীয় সময় ৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তিনি এ কথা বলেন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডি টিভি।
গত ২৫ ডিসেম্বর এবং নববর্ষের দিনে ‘তিনি হাসপাতাল ও নার্সারি এবং গির্জাগুলোতে বোমা ফেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন’ এ কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার অর্থোডক্স ক্রিসমাসের সময় ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মনে করি, তিনি কিছু অক্সিজেন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।’
মস্কো সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হওয়ার কয়েকদিন পরে এবং ১১ মাসের নৃশংস যুদ্ধের পর পুতিন সৈন্যদের প্রতি এই যুদ্ধ বিরতির নির্দেশ দেন।
উভয় দেশই অর্থোডক্স ক্রিসমাস উদযাপন করে এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং কট্টর পুতিন সমর্থক রাশিয়ার আধ্যাত্মিক নেতা প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পরে রাশিয়ান নেতা এই নির্দেশ দেন।
পুতিনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিজ হোলিনেস প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে আমি (পুতিন) রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে ইউক্রেন পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের সম্পূর্ণ লাইন বরাবর একটি যুদ্ধবিরতি প্রবর্তনের নির্দেশ দিচ্ছি।’
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ৬ জানুয়ারি ১২:০০ টা (০৯০০ জিএমটি) থেকে ৭ জানুয়ারি ২৪:০০ টা (২১০০ জিএমটি) পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। কিয়েভ এই ঘোষণাকে ‘ভন্ডামি’ বলে আক্রমণ করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে লিখেছেন, রাশিয়াকে “অধিকৃত অঞ্চলগুলি ছেড়ে দিতে হবে, তবে এটি একটি ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ হবে।”
রাশিয়া ১১ মাসের যুদ্ধের পর পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করেছে, কিন্তু কিয়েভ তার ভূখন্ডের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে এবং কিয়েভ বলেছে নতুন বছরে এই সপ্তাহে তাদের হামলায় মস্কোর অনেক সেনা নিহত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এরদোগান, যার মস্কোর সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে, দুই নেতার মধ্যে টেলিফোন কথোপকথনের সময় পুতিনকে ‘একতরফা’ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তুর্কি নেতার কার্যালয় এ কথা জানায়।
ক্রেমলিন জানিয়েছে পুতিন এরদোগানকে বলেছেন, কিয়েভের ভূমিতে ‘নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতা’ মেনে নিলে তিনি সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন