‘যৌনতার জন্য এক নারীকে ছয়বার পর্যন্ত তালাক আর বিয়ে দেওয়া হয়’

আইএস জঙ্গিরা জঙ্গি কার্যকলাপের থেকে যৌনতা এবং নারীদের নিয়ে বেশি মজে থাকে। এমন অভিযোগ আইএসের বিরুদ্ধে নতুন কিছু না। কোনও রকমে আইএসের আস্তানা থেকে পালিয়ে আসা একাধিক নারী এমন অভিযোগ করেছে। কিন্তু এবার আইএসের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন সেই নারী।

মার্কিন এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে আইএসের গোপন আস্তানা থেকে ফিরে এসে সেই নারী জানান, নারীদের ইসলামের কথা বলে আইএসে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরেই জঙ্গিদের চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায় তাদের কাছে। কেবল যৌনতার জন্য নারীদের ছয়বার পর্যন্ত তালাক আর বিয়ে দেওয়া হয়।

ফ্রান্সের এক নারী, সিরিয়ার ইংরেজির শিক্ষক ও ইন্দোনেশিয়ার তিন বোনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে মার্কিন এই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম। সেখানে সিরিয়ার ওই শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর তার হাত ধরেই রাক্কায় পৌঁছে যান তিনি। শুধু তাই নয়, ইন্দোনেশিয়ার তিন বোনকেও নানাভাবে বুঝিয়ে রাক্কায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যেয়ে সব কিছু বদলে যায়।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাক্কায় অভিযান চালানোর সময় সেখান থেকে পালিয়ে যান এরা। কিন্তু এর আগে দিনের পর দিন তাদের যৌনদাসী হিসেবে দিন পার করতে হয়েছিল। অনেক নারীর অভিযোগ, আইএস অর্থের জন্য তাদেরকে মাদক চোরাচালানেও বাধ্য করা হয়।

এক নারী বলেন, ‘সবসময় মাথায় একটাই চিন্তা ছিল, আমি পালিয়ে যাব। আমার ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে ফিরে যাব নিজের জন্মভূমিতে। ’ বর্তমানে ১৪ মাসের শিশু নিয়ে সিরিয়ার জেলে আটক আছেন তিনি। তার স্বামীও জঙ্গি ছিলেন, নাম ইয়াসিন। মাদক পাচারের জন্য তারা ছয় হাজার ডলার পেতেন।

ইসলামের নামে বহু নারীকে আইএসের খপ্পরে পড়তে দেখেছেন এই মহিলা। অনেকেরই ধারণা ইসলামি মন-মানসিকতার কোনও মানুষের সঙ্গে তারা জীবন কাটাতে যাচ্ছেন। অথচ রাক্কায় পৌঁছার পর তাদের সবারই ধারণা বদলাতে থাকে। সেখানে পৌঁছার পর কোনও নারী নিজেকে যৌনবস্তু ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারবে না। নারীদের সঙ্গে একেবারে বিভৎস আচরণ করা হয় সেখানে।