রংপুরে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার,জনপ্রতিনিধি এমনকি সমাজ সেবা কার্যালয়ে ঘুরেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাননি শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিনা বেগম (৪০)। হয়রানি আর ভোগান্তির পর প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে অবশেষে বাধ্য হয়ে চওড়া সুদে চারহাজার টাকা দিয়েছিলেন ইউপি সদস্য, মোঃ আনারুল হককে। টাকা নেওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি শাহিনা বেগম। অন্যদিকে ইউপি সদস্য আনারুল হক টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করছেন।

ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী জানান , মিঠাপুকুর উপজেলার ০৭ নং লতিবপুর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের বাতাসন দূর্গাপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি শারীরিক এবং তাঁর স্বামী সাহিদুল ইসলাম শ্রবণ প্রতিবন্ধী। অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারেন না।তাঁর স্বামী দিনমজুরের কাজ শেষে রান্নাবান্না করে খাওয়ান। প্রতিবন্ধী এ দম্পত্তির দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। অভাব অনাটনের সংসারে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য সমাজের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তাঁরা। তাঁর দাবি, মিঠাপুকুরে শতভাগ প্রতিবন্ধী এবং মাতৃভাতা প্রদাণের কথা বললেও বাস্তবে তা ভিন্ন! চেয়ারম্যান/মেম্বার, দালালদের টাকা না দিলে কোনো সুবিধাই পায়না উপকার ভোগীরা। অনেক সময় টাকা দিয়েও মেলেনা কাঙ্খিত সেবা।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, একের পর এক জায়গায় ঘুরেও যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন একই ইউনিয়নের ইউপি-সদস্য আনারুল হকের শরমাপন্ন হলে তিনি জানান, টাকা ছাড়া কোনো কাজ হবেনা। তোদের প্রতিবন্ধী কার্ড এবং ভাতার জন্য সমাজ সেবা অফিসের পিয়নকে টাকা দিতে হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের কথা বলে আনারুল হক চার হাজার টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু টাকা গ্রহনের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শাহিনা বেগম এবং সাহিদুল ইসলাম আজও প্রতিবন্ধী কার্ড কিংবা ভাতা পাননি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন সহ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও তাঁকে পাওয়া না যাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভুক্তভোগীদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।