রংপুরে স্কুল ছাত্রকে ছুরিকাঘাত
রংপুরের মিঠাপুকুরে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে কামরান হাসান কাইয়ুম (১৫) নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
আহত ওই শিক্ষার্থী লতিবপুর ইউপির পাইকান কৃষ্ণপুর গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে। সে পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা গোলজার হোসেন বাদী হয়ে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযুক্তরা হলেন,উপজেলার একই ইউনিয়নের তনকা মামুদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ বাবু মিয়া,জিহাদ হাসান। পাইকান কৃষ্ণপুর ঘোনাপাড়া গ্রামের সাহাবুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন মিয়া।সাদুল্যাপুর কুমার পাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে হাবিব মিয়া ও তনকা মামুদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের করিম উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই অভিযুক্তদের সঙ্গে কামরান হাসান কাইয়ুম এর ঝগড়া-বিরোধ চলে আসছিল।এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন কামরান হাসান কাইয়ুম দুপুরে পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বেড়াতে গেলে অভিযুক্তদের সাথে ধাক্কা লাগে ও কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেখান থেকে বাসায় ফিরতে তার সন্ধ্যা গড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে লোহার রড়,ধারালো ছুরি,রাম দা ইত্যাদি নিয়ে রাস্তার ধারে অপেক্ষা করে। তিনি পাইকান কৃষ্ণপুরগ্রামের হাসেম মুন্সীর বাড়ির পশ্চিমে তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে রাস্তায় ওত পেতে থাকা অভিযুক্তরা তাকে বেধড়ক মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, লিখিত অভিযোগ দেয়ার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন কার্যকারী ভূমিকা পালন করেনি পুলিশ। তবে কি আমরা ন্যায় বিচার পাব না।
লতিবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ খোরশেদ আলম জানান, যেহেতু সকলে একই ইউনিয়নের মানুষ তাই বিষয়টি বেশি বাড়ানোর দরকার নেই। উভয়পক্ষে আলোচনা চলছে, বিষয়টি সমাধান করা হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এই লতিবপুর ইউনিয়নে নানা রকম ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে। কিছু লোক এ সকল ঘটনাগুলোর নাম মাত্রই সমাধানে অর্থ পুঁজি করে আসছে। ফলে ন্যায় বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে ইউনিয়নবাসীর।আমরা এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান,এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন