রমজান জুড়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আ.লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি জোরদার করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি ভোটারদের দৃষ্টিতে আসতে চলতি রমজানে ইফতারসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে দলটি।
দলের নেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়ে কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ৩০০ আসনে ব্যস্ত সূচি রাখছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্য বছরের চেয়ে এবারের রমজানে বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মসূচির আয়োজনও বেশি হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইফতারে অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি সরকারের ইতিবাচক বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন তারা। এই কর্মসূচির সঙ্গে সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চলতি মাস থেকেই শুরু করতে চায় ক্ষমতাসীনরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ পোলিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
নেতারা বলছেন, গত ৩০ জানুয়ারি সিলেটে জনসভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পর্যায়ক্রমে বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঠাকুরগাঁও এবং চাঁদপুরে নির্বাচনী জনসভা করেছে আওয়ামী লীগ। এসব জনসভায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’ গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচটি ইমামকে কো-চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব রাখা হয়েছে। দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও কমিটি গঠনের চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ। বিভাগীয় পর্যায়ের এ কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্যকে আহ্বায়ক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে সদস্য করা হবে।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহমান বলেন, প্রতি রোজায় দলীয় নেতাকর্মীদের এক জায়গায় নিয়ে আসা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও দল গোছানোর জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না। বরং এবারের আয়োজন আরো জোরালো হবে। কারণ আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন