রাজধানীতে বিসিএস ক্যাডার নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত

রাজধানী মিরপুরের ৬০ ফিট সড়কে একজন বিসিএস ক্যাডার নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছেন এক যুবক। ওই নারীর নাম শারমিন সুলতানা। তিনি ২৭ তম বিসিএস থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ওই নারীর অভিযোগ, এক যুবক তাকে লাঞ্ছিত করার পর পেটে লাথি মেরে পালিয়েছেন। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর ৬০ ফিট সড়কের কলাপাতা রেস্টুরেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

জানাযায়, ঐ নারী কর্মকর্তার পিএসসিতে একটা কাজ ছিল। সেখান থেকে একজন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমরা দুজনই বিসিএস ক্যাডার। এরপর মিরপুরের ৬০ ফিট সড়কের একটি রেস্টুরেন্টে বসে কথা বলছিলাম। একটা সময় আমার বাসার জরুরি কাজের কথা মনে পরে। তাই দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে সিএনজি ঠিক করছিলাম। এমন সময় সিএনজির পেছনে এসে একটি মোটরসাইকেল এসে দাঁড়ায়। ওই মোটরসাইকেল চালক (যুবক) সিএনজির চালককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিলেন। সেসময় আমি তাকে ভালোভাবে কথা বলতে বলি। তিনি আমার ওপর চড়াও হন। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। আমি মোবাইলে তার ছবি তুলতে যাই। তখন তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমাকে হেলমেট দিয়ে মারতে আসেন। তিনি আমাকে লাথি মারেন।

ভুক্তভোগী নারীর শুভাকাঙ্ক্ষী রিফাত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরের ঘটনাটুকু তুলে ধরেন। তিনি জানান, এরপর সাথে থাকা অপর মহিলা কর্মকর্তা যে একটু পিছনে দিকে ছিল সে এই অবস্থা দেখে তাকে পিছন দিকে টানার জন্য হাত ধরে এবং বলতে থাকে আপনি মহিলার গায়ে আঘাত করছেন, অযথাই অসভ্যতা করছেন। তখন ওই মোটরসাইকেল চালক (যুবক) আবার ঐ মহিলা কর্মকর্তার পেটে লাথি মারে, হেলমেট দিয়ে আঘাত করতে না পেরে। সেই সাথে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে। সেই সিএনজি চালক একটু সামনে যেয়ে সিএনজি রেখে এসে যখন এ অবস্থা দেখে তখন ওই যুবককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি জানেন না মহিলাদের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হয়?’ তখন মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘মহিলা হয়েছে তো কি হয়েছে?’

এ অবস্থার মধ্যেই ঐ মহিলা কর্মকর্তা মোটরসাইকেল চালকের ছবি ও মোটরসাইকেলের ছবি তোলার সময় ওই ‍যুবক মোটরসাইকেল থেকে নেমে এসে মহিলা কর্মকর্তার হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারীর বান্ধবী এবং সেই সিএনজি চালকের বাঁধায় আর সেটা নিতে পারেনি। রিফাত উল্লাহ জানান, ওই মোটরসাইকেলের নম্বর- ঢাকা মেট্রো ল- ১৭-৩৭৪৪।

এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নিবেন কিনা জানতে চাইলেন ভুক্তভোগী নারী জানান, আমি এখন চিকিৎসকের কাছে এসেছি। কিছুটা সুস্থ বোধ করলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।