মেট্রোরেলে প্রথমদিনেই যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড়

স্বপ্নের মেট্রোরেল দীর্ঘদিনের ভোগান্তি আর অপেক্ষার পালা শেষে চালু হলো।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো এ উড়াল ট্রেন। সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে মেট্রোরেলের এক নম্বর স্টেশন উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে যাত্রী নিয়ে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে মেট্রোরেল। পরিবহনটি চালুর প্রথম দিন সকাল থেকেই স্টেশনগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।

জানা গেছে, শুরুতে সীমিত পরিসরে উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে এই মেট্রোরেল। বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। আপাতত মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলার সময় মাঝের কোনো স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না।

সাধারণ যাত্রীদের অবগতির জন্য মেট্রো স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রোরেলে কোনো ধরনের পোষা প্রাণী বহন করা যাবে না। বিপজ্জনক বস্তু বহন করা যাবে না। মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে পানের পিক বা থু থু ফেলা যাবে না। প্ল্যাটফর্ম ও মেট্রো ট্রেনে খাওয়া-দাওয়াও নিষেধ। প্ল্যাটফর্মের কোথাও কোনো ময়লা ফেলা যাবে না।

এছাড়া মেট্রোরেলে ওঠা-নামার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। কোচের দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়ানো যাবে না। মোবাইল ফোনের স্পিকার অন করে রাখা যাবে না। কথা বলতে হবে নিচু স্বরে।

এদিকে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেনে উঠার আগে স্টেশন থেকে একক যাত্রার কার্ড ও র‍্যাপিড পাস কার্ড নেওয়া যাবে। একক যাত্রার কার্ড মাত্র ৩০ সেকেন্ডে টিকিট কাউন্টার ও টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে নেওয়া যাবে। আর র‍্যাপিড পাস কার্ড নেওয়ার জন্য ফরম ওয়েবসাইট ও স্টেশনে পাওয়া যাবে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বহুল প্রতীক্ষিত ও দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে মেট্রোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। টিকিট কেটে পরের ট্রেনে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।