রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে বাধা নেই
রাশিয়া থেকে সার, খাদ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বুধবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরপরবর্তী অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জে ডব্লিউ ফারনান্দেজ ও সহকারী আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তখন আলোচনায় ফারনান্দেজ বলেন, সার, খাদ্য ও তেলের মতো কিছুতে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) নেই। আমি জানতে চেয়েছিলাম, আমরা কি ভিন্ন সোর্স থেকে তেল আনতে পারবো? উনি চুপ ছিলেন। তাতে আমার মনে হয়েছে, তিনি ইতিবাচক।
যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তাতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। বেড়েছে খাদ্য ও জ্বালানির দামও। তবে এ মুহূর্তে সার, খাদ্য ও তেলে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই এবং আমদানিতে বাধা নেই।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোকে সঠিক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জ্বালানির দাম বাড়িয়ে রাখা ঠিক ছিল, কারণ আগামী দিনগুলোতে কী হবে সেটা অনিশ্চিত।
তিনি বলেন, স্থলভাগের ব্লক থেকে নিজেরাই গ্যাস উত্তোলন করবে বাংলাদেশ। সমুদ্রের ব্লকগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেওয়া হতে পারে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়, এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। গণমাধ্যমসহ দলমত-নির্বিশেষে সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালালে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তৌফিক-ই-ইলাহী।
তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিশ্বে যে আঘাত এসেছে, তা বাংলাদেশেও পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক সংকটের সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন