ইভিএম নিয়ে কমিশনে এসে চ্যালেঞ্জ করুন, সুজনকে ইসি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপি করে ভোটের ফল পরিবর্তন করা সম্ভব বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

আজ বুধবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ যদি করতেই হয় সংবাদ সম্মেলনে কেন? আমাদের কাছে এসে চ্যালেঞ্জ করতে অসুবিধা কী?’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা ইভিএম নিয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি, রাজনৈতিক দলের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বসেছি। তাদেরও ডেকেছি। তারা কিন্তু আসেননি। আমরা পাঁচ মাস ধরে সময় দিয়েছি। কেন হঠাৎ করে এই সংবাদ সম্মেলন, উদ্দেশ্যটা কী?’

আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘তাদের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তারা একদিন না ১০ দিন আসবে, ভীতি কোথায়? চ্যালেঞ্জ যদি করতেই হয়, সংবাদ সম্মেলনে কেন? আমাদের এখানে এসে চ্যালেঞ্জ করুক। তারা আমাদের চেয়ে অনেক শিক্ষিত, অনেক বড়। কাজেই আমাদের এখানে এসে চ্যালেঞ্জ করতে অসুবিধা কী?’

প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা ৪০০টা নির্বাচন করলাম। কয়জন মারা গেছে? কয়টা জায়গায় অরাজকতা হয়েছে? অনিয়ম হলে সেটা তুলে ধরেন—অসুবিধা নাই। অসততা, অসচ্ছতা, পক্ষপাতিত্ব যদি চোখে পড়ে, প্লিজ আমাকে জানান, তার প্রতিকার—জবাব দিয়ে তৃপ্ত করে ছাড়ব। কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। তবে দেখবেন ইচ্ছাকৃত ভুল হলো কি না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেকেই থাকে, যারা সংকট তৈরি করতে চায়। ঘোলাভাবে শিকার করতে চায়। সরকার থেকে এবং বিরোধী দল থেকে অনেকেই ইভিএম চাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ আমাকে ইভিএম দিয়েন না, আমার এলাকার অশিক্ষিত মানুষ বেশি এমনও বলছে। বিদেশের সন্তানের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে যদি কথা বলতে পারে—দুটা বোতাম চাপতে পারবে না? কাজেই এটা অসৎ উদ্দেশ্য।’

ইভিএমের বিষয়ে কমিশনার আরও বলেন, ‘আঙ্গুলের ছাপ না মিললেও যখন নম্বরটা দেওয়া হয়, তখন কিন্তু ভোটারের পরিচয় মেলে। আঙ্গুলের ছাপ না মিললে ওভাররাইট করলে সেটা কিন্তু সংরক্ষিত থাকছে। আমরা অনেক সময় সেটা নিয়ে ভিডিও কলে কথা বলি। নির্বাচনে প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের চলতে হবে। বিকাশ, রকেট, ইউপে, নগদ; জুম অ্যাপ বিশ্বব্যাপী চলছে। কাজেই আমাদের কাছে আসেন, দেখেন। অনেক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ তারা। তাদের সন্দেহ থাকলে কাছে আসেন, দেখেন। প্রত্যেকটা পর্বে পর্বে আমরা ইভিএম দেখার ব্যবস্থা করেছি, তাদের থাকতে বলেছি।’

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন জানায়, ইভিএমের অডিট কার্ড পরিবর্তন করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া সম্ভব। এ ছাড়া আঙ্গুলের ছাপ না মিললে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ওভাররাইট করে ব্যালট ইউনিট ওপেন করার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।