রুমিকে ছেড়ে দিতে পুলিশ সুপারকে ফোন দিলেন কাদের
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার মানবাধিকার কর্মী রুমি আক্তার (৪০) জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুমিনুন্নিছা খানম পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে রুমিকে জামিন দেন। এর আগে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ আদালতে রুমির বিরুদ্ধে করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
রুমি বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ঝিনাইগাতী শাখার মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি উপজেলার ভালুকা গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন সরকারের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুর রহমান তরফদার বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবর রহমান সোমবার রাতে রুমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রুমি আক্তার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি বিকৃত করে তার ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে মন্ত্রীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং বাদীসহ অন্যরা মর্মাহত হয়েছেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুর রহমান তরফদার বলেন, গত সোমবার রাতে ঝিনাইগাতী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। পরদিন আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে রুমিকে জামিনের আদেশ দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজ উদ্যোগে রুমিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। পুলিশ সুপার ও মামলার বাদীকে কল দিয়ে রুমিকে দ্রুত ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন সেতুমন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পর দেখলাম, মেয়েটি আমার ছবি বিকৃতি করেনি। অন্য কারো ফেসবুক পেজ থেকে সে শুধুমাত্র শেয়ার করেছে। সে কারণে আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। মেয়েটিকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে বলেছি। পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য। কোনো নিরপরাধ লোক এ আইনে শাস্তি পাবে না। অপরাধী যে তার উপযুক্ত শাস্তি হবেই। কেউ যেন এই আইনের অপপ্রয়োগ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন