শতভাগ প্রস্তুতি ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

শতভাগ প্রস্তুত না হয়েই বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অভাবটা থেকে যাচ্ছে ভালো কোন দলের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে না পারা। অনুশীলন শেষে এমন মন্তব্য করেছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।

তবে টিম ম্যানেজারের দাবী দেশেই ভালো অনুশীলন হয়েছে বাংলাদেশের, তার ইতিবাচক ফল জাতীয় দল পাবে বাছাই ম্যাচে।

হবে হচ্ছে করে আর হলোই না! বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগে কাঙ্ক্ষিত প্রস্তুতি ম্যাচ কিংবা দেশের বাইরে অনুশীলন করার কোন সুযোগই পেলো না বাংলাদেশ। তাই বলে তো আর বসে থাকার উপায় নাই। শেষ চেষ্টা তাই চলছে ঘরের মাঠে।

জাতীয় দল নিয়ে প্রশিক্ষকরা এতদিন কাজ করেছেন ফরোয়ার্ড লাইন ধরে। শেষ দিকে এসে দৃষ্টি ফেরানো হয়েছে ডিফেন্স লাইনে। প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত আক্রমণ আর মাথা বরাবর উড়ে আসা সেট পিসগুলো কিভাবে ঠেকাতে হবে তারই তালিম দেয়া হয়েছে। তারপরও ডিফেন্ডাররা অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছেন অনুশীলন ম্যাচের অভাবে।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন, ‘শুধু প্র্যাকটিস করেই যদি আমরা কোনও কম্পিটিশন ম্যাচ খেলতে যায় তাহলে আমাদের ভুলগুলো মেইন ম্যাচগুলোতেই দেখা দিবে। যদি আমরা মেইন ম্যাচ খেলার আগে কোনো প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারি তাহলে আমরা আমাদের ভুলগুলো প্র্যাকটিস ম্যাচেই খুঁজে বের করতে পারব। আমাদের কি করা উচিত, কি করলে ভাল হবে।

সুতরাও এদিক থেকে আমি মনে করি, আমাদের কিছু ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা উচিত ছিল। তাহলে আমাদের ভুলগুলো আমরা ভালভাবে বুঝতে পারতাম।

বাংলাদেশ যখন এত চেষ্টা করেও প্র্যাকটিস ম্যাচ পায়নি তখন দিব্যি মাঠ গরম করে চলেছে আফগানিস্তান-ওমান। আফগানরা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে পেয়েছে ৩-২ গোলের ডমিনেটিং উইন। আর ওমান হারিয়েছে থাইল্যান্ডের মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যানেজার হোসেন বলেন, ‘ভারত, আফগানিস্তান, ওমান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। ওদের বিপক্ষে একটা জয়, একটা ড্র আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি মনে করি, আমাদের খেলোয়াড়রা এখন ভাল অবস্থায় আছে। তারা প্র্যাকটিসে প্রচুর পরিশ্রম করেছে। তারা কাতারের ওয়েদারে প্র্যাকটিস করে। এ কারণে আমার বিশ্বাস তারা ভাল করবে।

কাতারের বিমানে চাপার আগে জাতীয় দল শেখ জামালের বিপক্ষে একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে। তবে সেই ম্যাচে ফুটবলারদের কোভিড প্রটোকল নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।