শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশে কড়াকড়ি, বের হওয়ার সময় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি
করোনার কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। দীর্ঘ এই স্থবিরতা কাটিয়ে আবারও দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। মুখরিত হয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পদচারণায়। প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনার ভয় কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। কিন্তু এখানেই দেখা গেল গড়িমসি।
গাজীপুরে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও ছুটির পর বের হওয়ার সময় দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধির বেহাল দশা। দেখা মেলে সেই আগের চিত্র। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তবে এরপরও শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিলো চোখে পড়ার মত।
গাজীপুর, টঙ্গী, বোর্ডবাজার এলাকায় কয়েকটি স্কুলে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের সময় হওয়ার অনেক আগেই শিক্ষার্থীরা এসে হাজির। প্রতিটি স্কুলের প্রধান ফটকে প্রবেশ মুখে প্রথমে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রে পরীক্ষা করা হয়। পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়েছে। ক্লাসে বসার ব্যবস্থাও ছিলো স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক।
স্বাস্থ্যবিধি সর্ম্পকে জানতে চাওয়া হয়েছিলো কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী তাছনিয়া তৌহিদ মাধবী আমাদের সময়কে বলেন, সবসময় মুখে মাস্ক পরিধান করা।সহপাঠীদের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বার বার হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানার কমতি না থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা লক্ষ করা গেছে। ছুটির পর বের হওয়ার সময় প্রধান ফটকে একজন শিক্ষক সর্তকও করছিলেন। তবে শিক্ষার্থীদের কোলাহলে তার কথা কারো কানে পৌঁছায়নি। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সকালের শিফট ছুটি হতেই দেখা গেছে, সব ক্লাসের মেয়েরা দল বেধে একরকম কে কার আগে বের হবে হুড়োহুড়ি শুরু করে। প্রধান ফটকে জটলা বাধে। এই পরিস্থিতি দেখে বাহিরে অপেক্ষমান কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিভাবকরা স্কুলে প্রবেশের মত বের হওয়ার সময়ও স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগের দাবি জানান।
একইভাবে টঙ্গী সরকারি কলেজ, সফিউদ্দিন একাডেমিতে দেখা গেছে, কলেজ আঙিনা ও বাহিরে চটপটির দোকানে নিজেদের মাঝে জটলা করে গল্পে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। অনেকে কলেজের আঙিনায় চাপাচাপি করে বসে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ছুটির পর প্রথম ক্লাস হওয়ায় শিক্ষার্থীরা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল। তবে আগামীতে ছুটির পর কলেজ ক্যাম্পাসে যাতে কেউ জটলা না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বের হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা আমাদের সময়কে বলেন, এ ব্যাপারে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট স্কুলে তিনি নিজে পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : দৈনিক আমাদের সময়
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন