শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় ৭শ’ যানবাহন

নাব্য সঙ্কট এবং পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৭ শতাধিক যানবাহন। সোমবার সকাল থেকে যানবাহনের দীর্ঘ সারি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ রুটে বাস ও ভারী গাড়ি চলাচল সম্ভব নয় বলে কর্তৃপক্ষ বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।

জানা গেছে, ২১টি ফেরির মধ্যে ৭টি ফেরি চলাচল করছে এবং মাঝ পদ্মায় দুইটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে চ্যানেলে আটকে আছে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, নাব্য সঙ্কটের কবলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ২১টি ফেরির মধ্যে নৌরুটে চলছে ৭টি ফেরি। এসব ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এ রুটে ৪টি রো রো, ৬টি ঠেলা ফেরিসহ ১৩টি বড় ফেরি অচল। তাই ভারী গাড়ি পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না।

ঘাট এলাকায় ৭ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ পদ্মায় দু’টি ফেরি চ্যানেলে আটকা পড়ে আছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন বলেন, আমাদের দেশীয় বিআইডব্লিউটিএ দুইটি ড্রেজার ও চায়না মেজর ব্রিজের একটি বড় ড্রেজার ড্রেজিং করছে। আরেকটি ড্রেজার সংযুক্ত হবে। বিআইডব্লিউটিএ’র সকল কর্মকর্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘাট এলাকায় কাজ করছে।