শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালেন বাবা!
যুক্তরাষ্ট্রের উইস্কনসিন রাজ্যে অভিনব কায়দায় সন্তানকে ‘বুকের দুধ’ খাওয়ালেন এক বাবা। নিজের স্তনের বোঁটা বাচ্চার মুখে দিয়ে তাতে সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিশুটিকে কৃত্রিম দুধ খাওয়ান তিনি। সন্তান জন্ম দেয়ার পর এপ্রিল নোবোয়ার নামে এক মা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে শিশুটির বাবা ম্যাক্সমিলিয়ান এই ব্যতিক্রমী কাজটি করেন।
সম্প্রতি ম্যাক্সমিলিয়ান-এপ্রিল দম্পতি তাদের সন্তানের জন্মদানের জন্য হাসপাতালে যান। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ ও খিঁচুনির কারণে এপ্রিলের প্রসব সহজে হয়নি। পরে জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়।
শিশু রোজালি’র জন্মের পরই এপ্রিল সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে তিনি তার কন্যাসন্তানকে স্পর্শ করারও সুযোগ পাননি। ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের ছোট্ট রোজালিকে তুলে দেয়া হলো তার বাবা ম্যাক্সমিলিয়ানের হাতে।
তিনি বলেন, ‘একজন নার্স এসে আমার হাতে আমাদের মেয়েকে তুলে দিলো। তারপর তিনি বললেন- আপনি কি আপনার স্তনের বোঁটা বাচ্চাটার মুখে দিতে পারেন, যাতে সে সত্যিকারের ব্রেস্টফিডিংয়ের কাছাকাছি কিছু একটা করতে পারে। আমি আমুদে লোক, বললাম- নিশ্চয়ই, কেন পারবো না। তখন নার্সটি আমার গায়ে একটি প্লাস্টিকের নিপল শিল্ড লাগিয়ে দিলেন যার সঙ্গে একটি কৃত্রিম দুধ ভরা সিরিঞ্জের সংযোগ করা ছিল।’
ম্যাক্সমিলিয়ান বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি আমি বাচ্চাকে এভাবে বুকের দুধ খাওয়াবো। আমার শাশুড়ি যখন ব্যাপারটা দেখলেন তিনি তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের মুখ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করলাম তার সঙ্গে আমার নাড়ীর টান। অনুভব করলাম- তাকে কোলে নিতে হবে, তার স্তন্যপানের অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করতে হবে।’
ম্যাক্সমিলিয়ান তার মেয়েকে ‘বুকের দুধ’ খাওয়ানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন। সেখানে অধিকাংশ প্রতিক্রিয়াই হয়েছে ইতিবাচক। কেউ কেউ সেই নার্সেরও প্রশংসা করেছেন।
কেউ কেউ আবার এটাকে ভালোভাবে নিতে পারেননি। একজন বলেছেন ‘দুঃখিত, এটা বড় বেখাপ্পা দেখাচ্ছে। তার মা যদি ব্রেস্টফিড করতে না পারে তাহলে একটা বোতল ব্যবহার করলেই তো হয়।’
ম্যাক্সমিলিয়ানের পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। শত শত লোক তাতে মন্তব্য করেছেন।
তার কথায়, তিনি যা করেছেন তা যেকোনো বাবাই সন্তানের জন্য করতেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন