‘ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক অবনতিতে দায়ী মোদি’

ভারত-পাকিস্তান সব সময় একে অপরকে শত্রুভাবে। এই দেশ দুটি একে অপরকে দোষারুপ করে থাকেন। এবার পাকিস্তানের তেহরিক-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান বললেন, নওয়াজ শরিফ যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়েও সমস্যা মেটানোর জন্য উদ্যোগ নিতে কসুর করেননি। কিন্তু মোদি সরকারের পাকিস্তান বিরোধী নীতি এবং ঔদ্ধত্যের কারণেই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে না।

সামনেই পাকিস্তানের নির্বাচন। তার আগে ভারত বিরোধী অবস্থানকে জোরদার করতেই ময়দানে নেমেছেন ইমরান। সেখানে মোদি বিরোধিতাকেই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। নিজের দেশের সরকার ও প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, নওয়াজ শরিফের সরকার দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে কসুর কিছু করেনি। এমনকি মোদিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে ব্যক্তিগত পর্যায়েও চেষ্টা করেছেন নওয়াজ। সম্প্রীতির পথ খুলে দিতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

কিন্তু দুই দেশের সম্পর্ক যে তা সত্ত্বেও ভাল হয়নি, তার প্রধান কারণ মোদি সরকারের কঠোর পাকিস্তান বিরোধী নীতি। কোনওভাবেই এই প্রেক্ষিতে নমনীয় হননি মোদি। বরং চড়া সুরে পাকিস্তানের সমালোচনা করে চলেছেন। একের পর এক নীতি গ্রহণ করছে ভারত সরকার যাতে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা করা যায়, তার সর্বোত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই যখন পরিস্থিত তখন কোনওভাবেই দুই দেশের সম্পর্ক ভালো হতে পারে না। এর জন্য মোদির আগ্রাসন ও ঔদ্ধত্যও দায়ী।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, মোদির নিন্দা করে ঘরোয়া মাটিতে প্রশংসা করলেও আসলে ঘুরিয়ে মোদির সুবিধাই করে দিলেন ইমরান। মোদির যে নীতির জন্য তিনি সমালোচনা করলেন তাতে দেশের মাটিতে সুবিধা হবে শাসক দলের। কারণ ইমরানের মন্তব্য প্রমাণ করে দিল, পাকিস্তান প্রশ্নে একফোঁটা নমনীয় নয় মোদি সরকার। যা আখেরে দেশবাসীর প্রত্যাশাকেই পূরণ করবে। তবে ইমরান তার দেশে ভোটে লড়ছেন। তাই মোদিকে টার্গেট করেই এগোচ্ছেন। তার দাবি, কেউ নির্বাচনে লড়ে জেতার জন্য। ভালো ছেলে হওয়ার জন্য পাকিস্তানের রাজনীতির ধরণ যেরকম তিনি সেরকম পথেই এগোচ্ছেন বলে দাবি খোদ ইমরানের।