সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ শেখ জনতা ফারুকের সাথে কিছুক্ষণ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং সংগঠক শেখ জনতা ফারুক ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। রমনা-শাহবাগ থানার শরিফ ইসলাম ছুট্টু (ছাত্রলীগের তৎকালীন সেক্রেটারি)এর নেতৃত্বে রাজনীতি শুরু করেন শেখ জনতা ফারুক। তখন তিনি ৫৫ নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
২০০৩ সালে ৫৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবুল কাসেমের নেতৃত্বে রাজনীতি করেন শেখ জনতা ফারুক। তখন তিনি মিরবাগ ১ নং ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। ২০০৫ সালে রমনা – শাহবাগ থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি মনোয়ার হোসেন বাদল এর নেতৃত্বে ৫৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন শেখ জনতা ফারুক।
২০১১ সালে শেখ জনতা ফারুক স্বেচ্ছাসেবক লীগের রমনা-শাহবাগ থানা ভাগ হওয়ার পরে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রমনা থানার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে শেখ জনতা ফারুক রমনা – হাতিরঝিল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বর্তমানে তিনি সাবেক রমনা থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ জনতা ফারুক বলেন, তিনি রাজনীতি করে আওয়ামীলীগের ভালোবাসা পেয়েছেন। মানুষেরা যখন প্রশ্ন করে আপনি ভালো জায়গা থাকতে পারেন না, এটাই আমার কাছে ভালোলাগা, এর বেশি কিছু করতে গেলে খালেদা জিয়ার মতো এতিমের টাকা মাইরা খাইতে হবে , নয়তো তারেক জিয়ার মতো চাঁদাবাজি কইরা খাইতে হইতো এখন। তারেক জিয়ার মতো হতে চাই না। ডাল- ভাত খেয়ে বাঁচতে চাই, এর বেশি কিছু চাইনা আমি শেখ জনতা ফারুক।
আরেক প্রশ্নের জবাবে গরিবের বন্ধু , গরীবের ছেলে শেখ জনতা ফারুক বলেন, আমি যেখানে থাকি তা হচ্ছে মীরবাগ ১১/৬, ইসলাম ভিলা , যেখানে আমি আমার বউ বাচ্চাদের নিয়ে নরমাল জায়গায় বসবাস করছি। এর চেয়ে ভালো জায়গায় বসবাস করতে হলে আমাকে অবশ্যই চাঁদাবাজি করতে হবে, দুর্নীতি করতে হবে অথবা তারেক রহমানের মতো দুর্নীতি করতে হবে কিংবা এতিমের টাকা মেরে খেতে হবে।
শেখ জনতা ফারুক বলেন, তিনি যদি হাতিরঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাহলে তিনি মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করবেন, কিশোর গ্যাং মুক্ত করবেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করবেন , এলাকার মানুষ যাতে ভালোভাবে চলতে পারে নির্ভয়ে তা পুলিশের সহযোগিতায় এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, যদি তিনি সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হতে না পারেন তারপরও তিনি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাবেন, আওয়ামী লীগ থেকে সরে দাঁড়াবেন না। কারণ তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। আমি হাসিমুখে সংগঠনের সকল সিদ্ধান্ত মেনে নেবো। দলীয় কোন্দল থাকতেই পারে, ভোট দিবার সময় আমরা সবাই নৌকায় ভোট দেবো। এখানে কোনো গ্রুপিং থাকবে না। বাবার সাথে ছেলের মিল নাই থাকতে পারে, তেমনি সংগঠনের সদস্যদের সাথে সদস্যের নাও মিল থাকতে পারে , তারপরেও সকলের প্রতীক নৌকা।অন্যদিকে বাবার সম্পত্তি সকল সন্তানেরা যেমন সমানভাবে ভোগ করবেন এবং দাবি থাকবে ঠিক তেমনি নৌকার জন্য সকলের ভালোবাসা থাকবে। কারণ আমরা কেউ নৌকার বিরুদ্ধাচারণ করতে পারবোনা। নৌকা হচ্ছে আমাদের শক্তি এবং আমাদের ঐক্য।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন