সাংবাদিককে জেলে পাঠানো সেই ইউএনওকে তলব

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় তথ্য চাওয়া সাংবাদিককে অসহযোগিতা করার অভিযোগে শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনকে তলব করেছে তথ্য কমিশন। আগামী ২ এপ্রিল তাঁকে কমিশনে হাজির হতে হবে।

তথ্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লিটন কুমার প্রামাণিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ইউএনওকে সমন দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের ৫ তারিখে দেশ রূপান্তরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কয়েকটি প্রকল্পের ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ৫ মার্চ আবেদনের প্রাপ্তি স্বীকারের কপি দেওয়া নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন ওই সাংবাদিকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে ইউএনও কার্যালয়ে পুলিশ ডেকে অসদাচরণের জন্য তাঁকে আটক করা হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফ ওই কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিক রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইউএনওকে তলব করেছে তথ্য কমিশন।

এর আগে ৮ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে জেলে পাঠানোর বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় তথ্য কমিশন। তথ্য কমিশনার শহীদুল আলমকে আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়। শহিদুল আলম ঝিনুকের অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনওকে তলব করে কমিশন।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রক্রিয়ায় কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই। তাই এসি ল্যান্ডকে তলব করা হয়নি।