সাতক্ষীরা শহরে অনুমোদন ছাড়াই কোরাইশি ফুড পার্ক নির্মাণ
আইন থাকলেও মানছে না। বলছেন আইটি কর্মকর্তার নিজের তৈরি করা আইন। বলছি সাতক্ষীরা শহরের কোরাইশি ফুড পার্ক কর্তৃপক্ষের কথা। যেটি উদ্বোধনের আগে সকলের নজর কেড়েছে। তবে রেস্টুরেন্টটি তৈরি করেছে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে ।
আইন অনুযায়ী বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট-১৯৫২ ও ২০১৩ সালে পৌরসভার বিল্ডিং কোড নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ অনুযায়ী পৌর এলাকায় যে কোনো ধরনের পাকা ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদনের বিধান রয়েছে।
তবে এসব বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র প্রাণসায়ের খালপাড়ে এনএসআই অফিস সংলগ্ন এলাকায় রেস্টুরেন্ট নির্মান করেছেন ব্যবসায়ী কোরাইশি। যেটি ইতোমধ্যে সকলের নজর কেড়েছেন। উদ্বোধনের প্রস্তুতি ও চলছে।
কোরাইশি ফুড পার্কের মালিক কোরেশী বলেন কয়েকদিনের মধ্যে আমার রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করা হবে। অনুমোদনের বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য কোন ব্যক্তির নকশা অনুমোদন প্রয়োজন হয় না। আমার বেলায় নকশা অনুমোদনের প্রয়োজন হচ্ছে? বাংলাদেশে নকশা অনুমোদনের কোন আইন নেই, এটি পৌরসভার কর্মকর্তাদের তৈরি করা আইন। তাই আমরা নকশা অনুমোদন করেনি। তবে ট্রেড লাইসেন্সের টাকা জমা দিয়েও ট্রেড লাইসেন্স পাচ্ছিনা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন বলেন, The Buildings Construction Act,1952 এবং BNBC-2000 প্রতিপালন না করে ভবণ নির্মাণ করার কোন সুযোগ নাই। অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মাণ করায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কোরেশি ফুড পার্কের মালিকের নিকট কারণ দর্শানো নোটিস পাঠান হয়েছে। নোটিসের জবাব সন্তোষ জনক না হলে তার প্রতিষ্ঠান আইন ও বিধি অনুসরণ পূর্বক উচ্ছেদ করা হবে। তাছাড়া ভবন নির্মাণের অনুমতি সহ বেশ কিছু আইন-কানুন না মেনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করলে পৌরসভা থেকে সেই ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয় না।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, নকশা অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করতে হবে। কেউ যদি নকশা অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ করে সেক্ষেত্রে আমরা জানার পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কোরাইশি ফুড পার্ক সম্পর্কে আমার জানা নেই, তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন