সাতক্ষীরার আশাশুনির কোপাত বাহিনীর প্রধান কারাগারে
আশাশুনির কুখ্যাত ডাকাত দল এলাই বাহিনীর প্রধান নিখোঁজ এলাই মোড়লের ভাই কোপাত বাহিনীর প্রধান কোপাত মোড়লকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরার ৮ নং আমলী আদালতে (আশাঃ) হাজির হয়ে তিনি ডাকাতি ও লুটপাটের জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে অপর এক ডাকাতি ও লুটপাটের মামলায় আশাশুনি থানা পুলিশ কোপাত মোড়লকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। তবে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে নিজেকে অসুস্থ হিসেবে মিথ্যা তথ্য উপস্থান করে জামিন পেয়ে যান তিনি। ওই মামলায় কোপাত মোড়ল এক নম্বর আসামি ছিলেন।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নে কয়েক বছর ধরে কোপাত মোড়লের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। কোপাত মোড়লের বড় ভাই এলাই মোড়ল ছিলেন সুন্দরবনের জলদস্যূ এলাই বাহিনীর প্রধান। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় এলাই ডাকাত তার কার্যক্রম পরিচালনা করত। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এলাই মোড়ল নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি খুলনা জেলার পাইকগাছায় রাতে ডাকাতি করতে গিয়ে নিহত হন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এলাই ডাকাতের অনুপস্থিতিতে ওই ডাকাত দলের লোকদের নিয়ে কোপাত গঠন করেছে কোপাত বাহিনী। মাত্র এক বছরের মধ্যে কোপাত বাহিনীর নেতৃত্ব অন্তত ৫টি ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলা হয়েছে। বাহিনীর প্রধান কোপাত ১ নম্বর আসামি এমন চারটি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। অপর একটি মামলায় কোপাত মোড়ল ছয় নম্বর আসামী। এছাড়া আরও একটি নন-জিআর মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ওসি বিশ্বজিত কুমার অধিকারী বলেন, কোপাতকে আগে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিন নিয়ে বরে হয়ে আসে। জামিনে বের হওয়ার পর আশাশুনি থানায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি লুটপাটের মামলা হয়েছে। সেই মামলার একটিতে কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, কোপাত মোড়লের নেতৃত্বে বর্তমানে ২৫-৩০ জনের একটি বাহিনী রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে এলাকায় ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে হওয়া যেসব মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আশাশুনি থানায় মামলা নং ১১/২৯৬, ৪৩/২৪, ৬৩/২৪, ১২৩/২৪ ও ১২৪/২৩ অন্যতম। এছাড়া নন-জিআর মামলায় পরোয়ানা রয়েছে।
কোপাত বাহিনীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ডাকাতি করার অভিযোগও রয়েছে। আগেও কোপাত বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে করাকাটি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৭ মাস জেলে ছিল কোপাত মোড়ল। পরে জামিনে বের হয়েই বাংলাদেশে চলে আসে। সেই মামলায় তার ৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে বলে কোপাত মোড়লের প্রতিবেশীরা জানায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন