সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি সাড়ে ৩৬০ কোটি টাকা
২০২০-২১ অর্থবছরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৩৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
তবে ঘাটতি হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় এবার ১৭৭ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আকবার আলী জানান, ‘২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ১২১ কোটি ৩৬লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি রয়ে গেছে ৩৬১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। সে অনুযায়ী চলতি অর্থবছর ১৭৭ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘চলমান করোনায় বন্দরে আমদারি রফতানি কিছুটা কমেছে। এছাড়া বর্তমান কঠোর বিধিনিষেধে সকাল ৮ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর চালু রাখা হয়েছে।’
ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান রাজস্ব ঘাটতির বিষয়ে বলেন, ‘গত বছর থেকে সারাদেশে বিভিন্ন সময় লকডাউন চলছে। এ সময় বাজার, দোকান বন্ধ থাকে। ফলে পণ্যর চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানিকারকরা অনেক পণ্য কম আমদানি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অন্যসব বন্দরে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানিতে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু ভোমরা বন্দরে পণ্য আমদানিতে কোনো ছাড় নেই। ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে বিধায় সেই বন্দর দিয়ে আমদানি করে। ভোমরা বন্দরে সুযোগ-সুবিধা কম থাকার কারণে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।’
ভোমরা স্থলবন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী বেনাপোল বন্দরসহ দেশের অন্য সব স্থল বন্দরে পণ্য আমদানিতে যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ভোমরা বন্দরে তা নেই। ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে অন্যবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়িয়েছে। আমদানি কমেছে ভোমরা বন্দরে। ফলে রাজস্ব আদায় কমেছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন