সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আটক ১৩
সাতক্ষীরায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামের ৯টি বাড়িতে ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় পরাজিত প্রার্থী আসাদুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের ওপর বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুল হকের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুষ্পকাটি পূর্বপাড়ার হায়দার আলী, ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন ও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুনসহ স্থানীয়রা জানান, গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে তারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুল ইসলাম হেরে যান। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করায় সোমবার রাত ৯টার দিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন শাওন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানির নেতৃত্বে লোকজন তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এছাড়া হাফিজুর রহমানের মুদি দোকানে ভাঙচুর চালায়। এতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শাহীনুজ্জামান রিপন বাদী হয়ে সোমবার রাতেই আসাদুল হকের ছেলে দোলায়ার হোসেন শাওন, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য গোলামা রব্বানীসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন