সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জুয়েলারি কারখানায় ডাকাতি; ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের বেতকান্দি কামারপাড়া মহল্লার সাধন কর্মকার ও গৌতম কর্মকারের জুয়েলারি কারখানা ও বাসাবাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ওই বাড়ির লোহার সিন্দুক খুলে ও স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা সোনা ও রূপাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
তাদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদের হামলায় ওই বাড়ির নীল রতন কর্মকার (৩৫) ও শিউলি কর্মকার (৪২) আহত হয়। এর মধ্যে নীল রতন কর্মকারের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিন দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের বেতকান্দি কামারপাড়া মহল্লার সাধন কর্মকার ও গৌতম কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, ‘সোমবার রাত দেড়টার দিকে একদল ডাকাত ওই বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির ৯ সদস্য ও জুয়েলার্স কারখানার ২ শ্রমিকসহ ১১ জনকে ড্যাগার, রামদা, চাপাতি, র‌্যানেজ, চাপাতি, দাসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে একটি কক্ষে বন্দী করে প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী ডাকাতির তান্ডব চালায়। ডাকাতদল জুয়েলারি কারখানা ও বসতঘরে থাকা লোহার সিন্দুক, স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ টাকা, ২০ ভরি সোনা, ১৫০ ভরি চান্দি রূপাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
ডাকাতদল এ বিষয়টি প্রতিবেশী, চেয়ারম্যান বা পুলিশকে জানালে ব্রাশফায়ার করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।’

ডাকাতদলের সদস্যদের মুখ ঢাকা থাকায় তাদের চেনা সম্ভব হয়নি তবে তাদের ভাষা এই এলাকার মতই মনে হয়েছে বলে বাড়ির মালিক সাধন কর্মকর্তা ও গৌতম কর্মকার জানান।

সেইসাথে তারা লুট হয়ে যাওয়া মালামাল ও টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।