সাবেক এমপির মেয়েকে চতুর্থবারের মতো ছুরিকাঘাত
সরকারি বাসভবনে ঢুকে এসিল্যান্ড রামানন্দ পালের স্ত্রী অদিতি বড়ালকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে এক দুর্বৃত্ত। তবে অদিতি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
অদিতি বড়াল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কালিদাস বড়াল ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়ালের মেয়ে। এ নিয়ে চারবার অদিতি বড়ালের ওপর দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনা ঘটল। অদিতি বড়ালের বাবা কালিদাশ বড়ালও দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা যান।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের কৃষ্ণনগরস্থ সরকারি ডরমেটরি ভবনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামানন্দ পালের স্ত্রী’র ওপর এই হামলা চালানো হয়। হামলার সময় রামানন্দ পাল কর্মস্থলে থাকায় অদিতি বাসায় একাই ছিলেন।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিল সরোয়ার জানান, ছুরিকাঘাতে অদিতি বড়ালের পেটে সামান্য জখম হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি আশঙ্কামুক্ত। আহত অদিতিকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর বাসায় নেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. জিয়াউল হক জানান, দুপুর ১টার দিকে এক ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেটদের সরকারি কোয়ার্টারে অদিতি বড়ালের বাসায় গিয়ে দরজা খুলতে বলে। তিনি দরজা খুললে ওই দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং হামলাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় একইভাবে এক দুর্বৃত্ত অদিতি বড়ালকে পিরোজপুরের ওই সরকারি বাসায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা করা হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, রামানন্দ পাল বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে চাকরিরত থাকার সময় ২০১৮ সালের ৩ জুলাই তার স্ত্রী অদিতি বড়াল আরও একবার দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতের শিকার হন। এছাড়া বাগেরহাটে থাকাকালেও হামলার শিকার হন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন