সাবেক মেজর সিনহার সহযোগী সিফাতের ল্যাপটপ-হার্ডড্রাইভ উধাও
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনাকর্মকর্তা মেজর সিনহার তথ্যচিত্রের চিত্রগ্রাহক ও প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের ল্যাপটপ ও হার্ডড্রাইভ উধাও হয়ে গেছে। স্বজনদের ধারণা, আলামত নষ্ট করতেই গায়েব করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এজাহারে ৪টি গুলি করার কথা বলা হলেও সুরতহালে সিনহার মরদেহে মিলেছে ছয়টি গুলির ক্ষত। এখন প্রশ্ন উঠেছে বাড়তি দুটি গুলি, করলো কে? খবর সময়টিভি’র।
৩১ জুলাই কক্সবাজার মেরিনড্রাইভের শামলাপুর চেকপোষ্টে পুলিশের তল্লাশির মুখে পরার আগ পর্যন্ত সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গেই ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাত। ৯ বছর বয়স থেকে যার কাছে বড় হয়েছেন সিফাত, সেই খালা জানালেন, ঘটনার পর সপ্তাহ পার হতে চললেও আইনজীবী বা পরিবারের সদস্য কেউ সিফাতের সাথে দেখা করতে পারেননি।
অ্যাডভোকেট নীলা বলেন, যেহেতু সিফাতের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই তারা চাচ্ছে যেন কোন কিছু কেউ না জানে। কারণে সে ওখানে ছিল।
তবে, কারাগারের ফোন থেকে একবার খালা ও আর একবার খালুকে ফোন করেছিলেন তিনি। তাতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সিনহা রাশেদের ইউটিউব চ্যানেল JUST GO এর জন্য চিত্রধারণ করে যে হার্ডড্রাইভ ও ল্যাপটপে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা লাপাত্তা হওয়ায়। খালুকে সিফাত জানায় হার্ডড্রাইভটি ঘটনার সময় তার সাথেই ছিল আর ল্যাপটপটি ছিলো নীলিমা রিসোর্টে।
সিফাত বলেন, ল্যাপটপ ছিল হোটেলে আর মানিব্যাগ, ক্যামেরা, হার্ডড্রাইভ ছিল।
সাবেক মেজর সিনহা ও চিত্রগ্রাহক সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার এজাহারে ২১টি আলামত জব্দ করার কথা বলা হয়েছে। তাতে বিদেশি অস্ত্র থেকে শুরু করে ছুরি পর্যন্ত জব্দ করার কথা বলা হলেও নেই হার্ডড্রাইভের কথা। অন্যদিকে নীলিমা রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে মদ গাজা উদ্ধারের কথা বলা হলেও নেই ল্যাপটপের উল্লেখ।
এসবের হদিস জানতে কক্সবাজার পুলিশের পেছনে ঘুরে ঘুরে সিফাতের খালুর ধারণা হয়েছে, এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ আলামত গায়েব করেছে খোদ পুলিশ।
সিফাতের খালু বলেন, মামলার জন্য পুলিশ এগুলো মিসিং করতে পারে। কারণ এটাই ওর প্রমাণ যে সে সেখানে কাজ করছিল।
এদিকে মামলার এজাহারে ইন্সপেক্টর লোকমান আত্মরক্ষার্থে ৪টি গুলি করেছেন বলা হলেও সুরতহাল রিপোর্টে সিনহার দেহে ৬টি গুলির গভীর ক্ষত পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বাড়তি দুটি গুলি কে করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিনহা নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সিনহার বোনের আশা সুষ্ঠু তদন্তে এ প্রশ্নেরও উত্তর মিলবে।
সিনহার বোন শারমিন বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, ফাইনাল রিপোর্ট মিললে এসবের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শামলাপুর চেকপোস্টের ঘটনায় সেনা ও পুলিশের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তদন্ত করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন