রিমান্ড শেষে সাতক্ষীরা কারাগারে সাহেদ

সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা আদালতে সোপর্দ করেছে র‌্যাব।

বুধবার দুপুরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব ৬-এর এসআই রেজাউল করিম সাহেদকে দেবহাটা আমলি আদালতে হাজির করেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে বহুল আলোচিত করোনা টেস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি সাহেদ করিমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার রায়।

উল্লেখ্য, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে মনগড়া প্রতিবেদন দেয়া, রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে গত ৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয় র্যা ব। ৭ জুলাই সাহেদকে প্রধান আসামি করে র‌্যাব উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

একই দিন হাসপাতালটির মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয়। ১৩ জুলাই র‌্যাবের মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে।

১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সেদিনই সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।

১৬ জুলাই সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত। ছয় দিন ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে থাকার পর বৃহস্পতিবার তাকে চার দিনের জন্য র‌্যাবের হেফাজতে দেয়া হয়। রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।

এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৬ জুলাই আদালতের কাছে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

পর দিন ২৭ জুলাই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র‌্যাব ৬-এর কার্যালয়ে আনা হয়। এর পর গত ৩০ জুলাই সাহেদকে পুনরায় আনা হয় শাখরা কোমরপুর লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের ওপর। সেখানে তাকে নিয়ে র্যায়ব সদস্যরা কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও তাকে খুলনা র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যান।