সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মেঘাই পর্যটন কেন্দ্রে ফিরছে প্রাণ
যমুনা নদীর তীরে সরকার গড়ে তুলেছেন পর্যটন কেন্দ্র। অনেকখানি অগ্রগতিও হয়েছে এই প্রকল্পের। কাজিপুরসহ আশপাশের ধুনট, সারিয়াকান্দি, সরিষাবাড়ী, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে যমুনার নান্দনিক রূপকে উপভোগ করতে আসেন প্রতিনিয়ত। সেখানে ছাতা, নাগর দোলা, চটপটি হাউজ, ঝালমুড়ি, কফি সপ, ডিঙি নৌকা সহ ভ্রাম্যমাণ অনেক দোকান বিকেল হলেই পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসে। সেখানে বসে একটু আয়েশ করে গল্প জমান সবাই। এই নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্রটি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকায় অবস্থিত।
সম্প্রতিক বৃষ্টিতে মেঘাই পুরাতন বাজারের পাকা রাস্তা থেকে পর্যটন এলাকায় ঢোকার পাঁচশ ফুট কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা হয়। রাস্তার দু’পাশে বাড়িঘরের কারণে মূল রাস্তায় জমে থাকে পানি। আর এই রাস্তাটি চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের দেড়লক্ষ মানুষ নদীর ঘাটে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় চারশ থেকে পাঁচশ বালিবাহী ট্রাক চলার কারণে ওই রাস্তায় হাটু পরিমাণ কাদা জমে কাদা-জলে একাকার হয়ে যায়। এতে করে ওই রাস্তায় সকল প্রকার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি আ.লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়কে জানান। পরে তাৎক্ষণিক ওই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেন। এরপর গত শনিবার (৫ জুন) থেকে ওই রাস্তায় ইট-বালি ফেলে মেরামতের কাজ শুরু হয়।
মঙ্গলবার (৮জুন) সকালে কাজিপুর সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার জানান, “এমপির নির্দেশে আমরা কাজটি শেষ করেছি। ওই রাস্তায় এখন সবকিছু চলাচল শুরু হয়েছে। লোকজনও পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন।”
ওই রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ফাস্টফুড ও কফিসপ স্বপ্নচূড়ার প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম বাবু জানান, “রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে আমাদের দোকান প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছিল। এখন আর সেই সমস্যা নেই।”
রাস্তার পাশের মুদি দোকানী রুবেল, মান্নান, রেজাউল ও বাদশা জানান, রাস্তাটি মেরামতের ফলে জনদুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় জানান, “জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি নানা জটিলাতায় টেণ্ডার করা যাচ্ছিল না। এবার ওই রাস্তা আরসিসি করে নির্মাণের টেণ্ডার হয়েছে। তবে কাজ শুরু হবে জুনের পরে। তাই জনদুর্ভোগ লাঘবে আপাতত ইট ও বালু ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। শীঘ্রই ওই রাস্তাটি স্থায়ীভাবে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন