সম্মতিতে বিয়ে

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মেয়েকে অপহরণের দায়ে জামাইকে জেলে পাঠালো শশুর!

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের অভিযোগে পলাশ তরফদার (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

সে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের জয়নাল তরফদারের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, আসামি পলাশ তরফদার ইউনিয়নের মানপুর গ্রামের মেয়ে ও একই এলাকার মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রীকে (১৪) বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। বিষয়টি ওই মাদ্রাসা ছাত্রী তার বাবাকে জানালে মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা অভিযুক্ত পলাশ তরফদারের পরিবারকে জানালে সে আরও উত্তেজিত হয়।

একপর্যায়ে গত ২৭ মে সকালে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়ার পথে আসামি পলাশ তরফদার মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার সূত্রধরে উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মৌতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি পলাশকে আটকসহ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (৮ জুন) বেলা ১টার দিকে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে আসামি পলাশ তরফতারের বড় ভাই রাজগুল হাসান জানান, ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টম্বর তার ছোট ভাই পলাশের সাথে পারিবারিকভাবে মাদ্রাসা ছাত্রীর বিয়ে হয়। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় দুই পরিবার একসাথে এফিডেভিট করে বিয়ে সম্পন্ন করে। বিগত ৪ মাস আগে তার ছোট ভাইয়ের শ্বশুর ও শাশুড়ি জামাই পলাশের কাছ থেকে ব্যবসায়ীক কাজ ও দেনা পরিশোধের কথা বলে এককালিন ৭০ হাজার টাকা ধার নেয়। যা ৩/৪ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিলো।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা শোধ না করে উল্টো জামাই ও তার মেয়েকে পিটিয়ে জখম করে।
এরপর গত ১ জুন মেয়ে বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন (যার নম্বর-সিআর-২৩০) এবং ওই দিন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন।
এরপর শ্বশুর জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তার ভাইকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।