সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহত ২০
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হামা প্রদেশে ষাট ফুট মাটির নিচে গড়ে তোলা একটি হাসপাতাল শক্তিশালী বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এটিই সবচেয়ে সুরক্ষিত হাসপাতাল বলে পরিচিত ছিল। বৃহস্পতিবারের বোমা হামলার পর হাসপাতালটি থেকে দেয়া সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে।-খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের
এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এ দিন সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় অত্যন্ত ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহী অধ্যুষিত গোওতা প্রদেশে গোলন্দাজ বাহিনীর হামলায় আরও তিন শিশু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, বিদ্রোহীদের পাল্টা গোলাবর্ষণে রাজধানী দামেস্কে সাত বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের কয়েকটি এলাকা বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দিয়েছে সরকারি বাহিনী। প্রদেশ দুটিতে রুশ বাহিনীর সহায়তায় বিদ্রোহী ও জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ার সরকারি যোদ্ধারা।
সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলের দুটি গ্রামে সরকারি বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ইদলিবের সারাকেব শহরে সরকারি হামলায় আরও পাঁচ ব্যক্তি নিহত হন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এলাকায় কোন ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। কাফর জিটা শহরে গুহার মতো দেখতে ভূগভর্স্থ আল মাগহারা হাসপাতালে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ইউনিয়ন অফ মেডিকেল কেয়ার এন্ড রিলিফ অর্গানাইজেশন (ইউওএসএসএম) জানিয়েছে, গোটা সিরিয়ায় এটাই ছিল সবচেয়ে সুরক্ষিত হাসপাতাল। আসন্ন হামলার খবরে শুনে রোগীদের আগেই সরিয়ে নেয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সংস্থাটি জানায়, প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটি ব্যবহৃত হতো। গত এক মাসে সেখানে প্রায় দেড়শ অস্ত্রোপচার হয়েছে। দেশের কোন হাসপাতালই নিরাপদ না। কেবল জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন হাসপাতালে চৌদ্দটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সিরিয়া ও রাশিয়া বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন